এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > খাস কলকাতায় প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূলের সেলিব্রিটি সাংসদকে হেনস্থা মদ্যপ ট্যাক্সিচালকের!

খাস কলকাতায় প্রকাশ্য দিবালোকে তৃণমূলের সেলিব্রিটি সাংসদকে হেনস্থা মদ্যপ ট্যাক্সিচালকের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই অনেকেই অভিযোগ করে আসছেন, কলকাতা শহরে রাতের বেলা তো দূর, দিনের আলোতেও মেয়েরা সুরক্ষিত নয়। আর সে কথাই আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল ভরদুপুরে কলকাতার রাস্তায়। মদ্যপ ট্যাক্সি ড্রাইভারের অশ্লীল আচরণের শিকার হলেন এবার স্বয়ং যাদবপুরের সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এই ঘটনা ঘিরে যেমন টলিউডে শুরু হয়েছে তীব্র আলোড়ন, ঠিক তেমনই তৃণমূল শিবিরেও চলছে জোর আলোচনা।

জানা গেছে, গত সোমবার দুপুরে বালিগঞ্জ এলাকায় এক মদ্যপ ট্যাক্সি ড্রাইভার সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে লক্ষ্য করে অশ্লীল কুইঙ্গিত করেন এবং তাঁকে কটাক্ষ করেন। এর পরেই মিমি চক্রবর্তী ওই ট্যাক্সি ড্রাইভারের নামে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ জানান। রাতেই ওই ড্রাইভার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, সোমবার বেলা দেড়টা নাগাদ বালিগঞ্জ ফাঁড়ি সংলগ্ন এলাকা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন মিমি চক্রবর্তী নিজের গাড়িতে। সে সময় একটা অন্য ট্যাক্সি ড্রাইভার অভিনেত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে ওভারটেক করে এবং অভিনেত্রীকে অশ্লীল ইঙ্গিত করে।

এরপরে অভিনেত্রীর ড্রাইভার ওই মদ্যপ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গেলেও অভব্য আচরণ করে সে। শুধু তাই নয়, সাংসদ মিমি চক্রবর্তীকে লক্ষ্য করে কটূক্তি করা শুরু করে। এরপরেই মিমি চক্রবর্তী সোজা পৌঁছান গড়িয়াহাট থানায় এবং অভিযোগ দায়ের করেন ওই মাতাল ড্রাইভারের বিরুদ্ধে। মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, বালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় ভরদুপুরে এক ট্যাক্সি ড্রাইভার তাঁকে কুইঙ্গিত করে। তিনি প্রথমে ব্যক্তির মুদ্রাদোষ ভেবে ব্যাপারটা এড়িয়ে গিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু পরে দেখা যায়, ওই ট্যাক্সি ড্রাইভার ইচ্ছাকৃতভাবে মিমি চক্রবর্তীকে দেখে এরকম করেছেন। তারপরেই মিমি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ জানিয়ে। পাশাপাশি সাংসদ মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই ধরনের নোংরা মানুষকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে অন্য মেয়েরা বিপদে পড়তে পারে। আর সে কারণেই তিনি এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। আর এই প্রসঙ্গে তিনি কলকাতা পুলিশের তৎপরতার জন্য তাঁদেরকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন। পুলিশি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় ধৃত ট্যাক্সিচালককে 354, 354এ 354ডি এবং 509 ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আপাতত অভিযুক্ত ট্যাক্সিচালককে জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী যেভাবে সাহসিকতার সঙ্গে পুরো ব্যাপারটি সামাল দিলেন, তা যথেষ্ট প্রশংসনীয় বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে টলিউডে পর্যন্ত প্রত্যেকেই মিমি চক্রবর্তীর সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন। তবে সমাজের বিভিন্ন স্তরের অনেকেই মনে করছেন, কলকাতা পুলিশের কাছে মিমি চক্রবর্তী একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হওয়ায় ঘটনার গুরুত্ব পেয়েছে অনেক বেশি। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে হয়তো এরকম দেখা যেতে নাও পারে। কিন্তু সাহসিকতার সঙ্গে যদি এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে হয়ত মেয়েদের সুরক্ষার ভার তাঁদের হাতেই থাকবে, অন্যের হাতে তুলে দিতে হবে না।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!