গোঘাটে বিজেপি কর্মীর মৃত্যুতে সামনে এল পোস্টমর্টেম রিপোর্ট! নতুন করে রাজনৈতিক অভিযোগে সরগরম বিজেপি রাজনীতি রাজ্য হাওড়া-হুগলি September 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত রবিবার হুগলি জেলার গোঘাট রেল স্টেশন সংলগ্ন এক স্থানে একটি গাছ থেকে বিজেপি কর্মী গণেশ রায়ের মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ৫০ বছর বয়স্ক বিজেপি কর্মী গণেশ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রতিবাদে বিজেপি আরামবাগ – কামারপুকুর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে। পুলিশ এই অবরোধ তুলতে গেলে দু পক্ষের শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বিজেপি সদস্যেরা গোঘাটের বকুলতলায় তৃণমূল কংগ্রেসের এক পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। গতকাল সোমবারও গোঘাটের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল না, গন্ডগোল এড়াতে এলাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও কম্ব্যাট ফোর্স নিযুক্ত করা হয়েছিল। এ দিন গণেশ রায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর জন্যে শাসক দল তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসনকে অভিযুক্ত করে আরামবাগ এসডিপিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসে বিজেপি নেতৃত্ব। গতকাল বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু গোঘাটের এই ধর্নায় এসেছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানান না, পশ্চিমবঙ্গের সম্প্রতি পুলিশ ও তৃণমূল এক হয়ে কাজ করছে। তাঁর অভিযোগ, মৃত গণেশ রায়ের পরিবারবর্গকে পুলিশ বন্দুক দেখিয়ে অপহরণ করেছে। আবার, গতকাল গণেশ রায়ের পরিবারের সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্বের দেখা করার কথা থাকলেও, তার আগেই গ্রাম ছেড়ে চলে যান তার পরিবারের সকল সদস্য। এ প্রসঙ্গে গণেশ রায়ের বড় ছেলে ধর্মরাজ রায় বলেছেন, ” বাবা রাজনীতি করত না। বিজেপির লোকজন আমাদের চাপ দেওয়ায় আমরা বলেছিলাম, ‘বাবা বিজেপি করে’। মানসিক অবস্থা ঠিক ছিল না। বিজেপি নেতৃত্ব বলে, খুন করে বাবাকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই মুহূর্তে আমরা সবাইকে সেকথাই বলেছিলাম। কিন্তু, বিজেপি যে বাবার মৃত্যুকে সামনে রেখে রাজনীতি করবে, এলাকায় অশান্তি পাকাবে, তা ভাবতেই পারিনি।” এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেছেন যে, বিজেপির রাজনীতি তিনি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না। তাই বিজেপি নেতারা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন জেনেই তাঁরা বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। কারণ, সে সময় তাঁরা বাড়িতে থাকলে তাঁদেরকে কিছুতেই এড়িয়ে যেতে পারতেন না। আরও অনেক বেশি মিথ্যে কথা বলতে বাধ্য হতেন তাঁরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সম্প্রতি গণেশ রায়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। যে রিপোর্ট এ পরিষ্কার, তাঁকে হত্যা করার হয় নি তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রথমে অভিযোগ করলেও গতকাল তাঁর পরিবারবর্গও তাঁর আত্মহত্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। গণেশ বাবুর দুই ছেলে বিশ্বজিৎ রায় ও ধর্মরাজ রায় জানিয়েছেন যে, আত্মহত্যা’ই করেছিলেন তাঁদের পিতা। এ প্রসঙ্গে আরামবাগের এসডিপিও নির্মল কুমার দাস বলেছেন যে, গনেশ রায়ের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেখানে আত্মহত্যার কথাই লেখা আছে। তার শরীর থেকে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তার পরিবারের পক্ষ থেকেও কোন অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে বিজেপি নেতৃত্ব এখনো আত্মহত্যার কথা মেনে নিতে নারাজ। তাদের অভিযোগ শাসকদল তৃণমূল চাপ দিয়েই তাঁর পরিবারকে আত্মহত্যার কথা বলতে বাধ্য করেছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক মানস মজুমদার বলেছেন, ” যে কোনও মৃত্যুই দুঃখের। তবে, আত্মহত্যার ঘটনাকে রাজনৈতিক রং চড়িয়ে বিজেপি নোংরা খেলায় মেতেছে। মানুষ এসব সহ্য করবে না। আত্মহত্যার ঘটনা ঘটলেই বিজেপি নিজেদের দলের লোক বলে দাবি করে, খুন বলে চালাতে চায়। এটা বন্ধ হওয়া দরকার।” আপনার মতামত জানান -