এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > নাবালিকা নির্যাতনের মতন গুরুতর অভিযোগে জড়াল এবার তৃণমূলের নাম, তীব্র নিন্দা সর্বত্র

নাবালিকা নির্যাতনের মতন গুরুতর অভিযোগে জড়াল এবার তৃণমূলের নাম, তীব্র নিন্দা সর্বত্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃতীয়বারের জন্য ব্যাপক জনসমর্থন নিয়ে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এলেও শাসকদলের বিরুদ্ধে কিন্তু অভিযোগ আর শেষ হচ্ছেনা। রাজনৈতিক হিংসা থেকে শুরু করে নারী নির্যাতন সবেতেই শাসকদলের নাম পাওয়া যাচ্ছে। আর এবার নাবালিকা নির্যাতন। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লক এর একটি চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যা এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। জানা যায়, এলাকারই এক নাবালক কিশোরীকে বাড়িতে ডেকে মদ্যপান করিয়ে তাঁর নগ্ন ভিডিও তুলে সেই ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়া হয়। আর এই নিয়েই এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ মাথাচাড়া দেয়। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে ধুপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।

সেই সূত্রে এবার পুলিশ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করল বলে জানা গিয়েছে। এবার পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী পার্থ সরকারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি ব্লকের খলাইগ্রাম এলাকায়। সেখানকার পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমা সরকার এবং তাঁর স্বামী পার্থ সরকার এই অপকীর্তীর সঙ্গে জড়িত বলে জানা যাচ্ছে। নাবালিকার বাড়ি থেকে অভিযোগ জানানোর পরেরদিনই পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমা সরকারকে ধুপগুড়ি থানার পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন্তু তাঁর স্বামী পার্থ সরকার বেপাত্তা হয়ে যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সোমবার ধুপগুড়ি থানা এবং বিডিওর দপ্তরে উত্তরবঙ্গ হরিজন এবং বাসফোর ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত পার্থ সরকারকে গ্রেফতারের দাবিতে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। এর পরেই গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত পার্থ সরকারকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের জলপাইগুড়ির জেলা সম্পাদক রাজেশ কুমার সিং এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়ে দিয়েছেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

একইসাথে তিনি আরও জানান, আইন আইনের পথে চলবে। কিন্তু তৃণমূল কোন অসামাজিক কাজের সঙ্গে থাকবে না। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, তৃণমূলের জেলা সম্পাদক যতই এড়িয়ে যাননা কেন, ঘটনার সঙ্গে যেহেতু শাসকদলের নাম রয়েছে তাতে এলাকায় দলের ভাবমূর্তি যথেষ্ট ক্ষুণ্ণ হবে। পাশাপাশি বিতর্ক যে বাড়ছে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এই পরিস্থিতিতে দলের ভাবমূর্তি উদ্ধারের জন্য আগামী দিনে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে, সেদিকেই থাকবে নজর।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!