এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আদালতের অব্যবস্থার ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ ও আদালত কর্তৃপক্ষকে শোকজ ক্ষুব্ধ বিচারপতির

আদালতের অব্যবস্থার ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ ও আদালত কর্তৃপক্ষকে শোকজ ক্ষুব্ধ বিচারপতির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতি চারপাশের অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে, আদালতের উপরও যার যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। করোনা সংক্রমনের কারণে অনেকসময়ই সরাসরি আদালতে না এসে ভার্চুয়াল ভাবে চলে বিভিন্ন মামলার শুনানি। ল্যাপটপ, ক্যামেরা, সাউন্ড সিস্টেমকে নিয়ে ভার্চুয়াল শুনানি চলে আদালতে। এ ক্ষেত্রে কানেক্টিভিটি যত ভালো হয়, ততই সুষ্ঠুভাবে আদালতের কাজ চলতে পারে, কিন্তু কানেকটিভিটির সমস্যা দেখা দিলে সমস্যায় পড়তে হয় আদালতকে। গতকাল হাইকোর্টে এক মামলার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। অনলাইনে চলছিল এই শুনানি। কিন্তু প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে শুনানি বন্ধ হয়ে যায়।

দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও সংযোগ না আসায় আদালতের ভার্চুয়াল পরিচালকদের ওপর ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান, দীর্ঘদিন ধরে ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানি চলছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে আদালত যথাযথ ন্যায়বিচার সরবরাহ করতে ন্যূনতম পরিষেবা ও সংযোগ দিতেও সক্ষম নয়। ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি জানান, এই জাতীয় সার্কাস থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন তিনি। আদালত ও বিচারকের থাকার জন্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষের বাইরেও বহু মেহনতী মানুষ আছেন। যারা রোদে, ধুলোবালি মেখে বিচারের জন্য অপেক্ষা করছেন। এই সমস্ত মানুষদের ন্যায়বিচার দেবার শপথ নিয়েছেন তিনি। তাই যতক্ষণ না সমস্যাগুলির পুরোপুরি সমাধান হয়, ততক্ষণ তিনি স্টেজশো করতে আদালতে বসতে পারবেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আদালতের ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশের পর ভার্চুয়াল মাধ্যমের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সেন্ট্রাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটরকে শোকজ করেছেন বিচারপতি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই ধরনের সমস্যা দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী হাইকোর্টের মর্যাদা ক্ষুন্ন করতে পারে। এই আদালতের অংশ হিসেবে এজন্য তিনি নিজেকে ব্যক্তিগত ভাবে দোষী বলে মনে করছেন। যে কারণেই হোক এটা আদালতের কাজে বাধা দেওয়া, কাজে হস্তক্ষেপ করা। তাই এটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। তাছাড়া এই ধরনের ঘটনা গতকাল প্রথম নয়, এর আগেও অনেক ঘটেছে। এরপরও নিজেদের ত্রুটি সংশোধন করেন নি কো-অর্ডিনেটর। তাই তাঁকে শোকজ নোটিস দেবে আদালত।

আদালতের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, আদালতের রেজিস্ট্রার জেনারেলেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিচারপতি। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর আদেশের কপি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি ও রেজিস্টার জেনারেলকে দেওয়া হবে। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান দাবি করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানির সময় অডিও-ভিজ্যুয়াল মাধ্যমে বারবার বিঘ্ন ঘটেছে। বিচারপতি জানিয়েছেন, এটা দূর্ভাগ্য, আদালত বিচারের স্বার্থে ন্যূনতম ভার্চুয়াল পরিষেবাও যথাযথভাবে প্রদান করতে পারেনি। এ বিষয়ে আজ বিচার করা হবে আদালতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!