এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নজিরবিহীন নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝেই শুরু হতে চলেছে রাজীব কুমারকে ম্যারাথন জেরা, চূড়ান্ত প্রস্তুতি সব পক্ষেই

নজিরবিহীন নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝেই শুরু হতে চলেছে রাজীব কুমারকে ম্যারাথন জেরা, চূড়ান্ত প্রস্তুতি সব পক্ষেই


১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে তাপমাত্রা থাকলেও এই মুহূর্তে শিলং উত্তপ্ত। সারদা কাণ্ডে কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে সিবিআইয়ের। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি শিলংকেই রাজীব কুমারকে জেরার জন্যে বেছে দিয়েছেন। বলার সময় খানিকটা রসিকতার সঙ্গে বলেছিলেন, ‘শিলং ঠান্ডা জায়গা, মাথা ঠান্ডা হবে’। শিলংয়ের আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলেও সিবিআইয়ের একাধিক প্রশ্নবানে রাজীব কুমার কীরকম প্রতিক্রিয়া দিচ্ছেন তা নিয়ে চাপা কৌতূহল উত্তাপ বাড়াচ্ছে রাজনৈতিকমহলের। সকাল ১০ টা নাগাদ রাজীব কুমারকে জেরা শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

গতকাল বিকালেই কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার জাভেদ শামিম এবং ডিসি(এসটিএফ) মুরলীধর শর্মার সঙ্গে শিলং পৌছে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন আইনজীবী ও মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিত্‍ দেব। শিলংয়ের সিবিআই দপ্তর থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ত্রিপুরা ক্যাসেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কলকাতা পুলিশ কমিশনার হওয়ায় রাজীব কুমার ‘ওয়াই ক্যাটাগরির’ নিরাপত্তা পান। আর সেজন্যেই মেঘালয় সরকার তাঁর জন্যে গাড়ি এবং পাইলটের ব্যবস্থা করেছিল। অপ্রত্যাশিতভাবেই মেঘালয় পুলিশ একরকম বিশেষ খাতিরদারিই করেছে পুলিশ কমিশনারকে।

তাঁর জন্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেও শক্ত করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে মেঘালয় পুলিশের বিশেষ কমান্ডো। এমনকি শিলংয়ে রাজীব কুমারের যাবতীয় খরচ বহন করছে মেঘালয় সরকার। উল্লেখ্য, মেঘালয়ে কনরাত সাংমার এনপিপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের এক অংশে বিজেপি রয়েছে। তবে সম্প্রতি এনআরসি বিলকে কেন্দ্র করে বিজেপির সঙ্গে মনকষাকষি চলছে মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা-সহ উত্তরপূর্বের অন্য রাজনৈতিক দলগুলির। আর সেজন্যেই রাজীব কুমার যতক্ষণ শিলংয়ে রয়েছেন তাকে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দিচ্ছে মেঘালয় সরকার, এমনটাই মনে করছেন উত্তর-পূর্বের রাজনৈতিকমহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রাজীব কুমারকে জেরা করার জন্যে একটি বিশেষ দল প্রস্তুত করা হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফ থেকে। আধিকারিকদের তিনটি ছোট ছোট দলে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। এই তিনটি দলেই তিনটি প্রধান সিবিআই কর্তা রয়েছেন। এঁরাই দফায় দফায় জেরা করছেন রাজীবকে। যে প্রশ্নের উপর ভিত্তিকে রাজীব কুমারকে জেরা করা হচ্ছে সেগুলি হল –

১. সারদা তদন্ত সংক্রান্ত কোন কোন তথ্য কলকাতা পুলিশের কাছে রয়েছে আর কোন কোন নথি সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে?

২. সুদীপ্ত সেনের যে নথিগুলো কাশ্মীর পুলিশের হাতে এসেছিল সেগুলি সব সিবিআইকে দেওয়া হয়েছে কিনা?

৩. সুদীপ্ত সেন ধরা পড়ার পর যে পেন ড্রাইভে সমস্ত তথ্য খোলাসা করেছিল – তা বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর সেই ল্যাপটপ এবং পেন ড্রাইভ কাকে দেওয়া হয়েছিল এবং তাতে কোন কোন তথ্য রয়েছে?

৪. সুদীপ্ত সেন ধরা পরার পর একটি লাল ডায়েরির কথা বলেছিলেন, এর অস্তিত্ব আদৌ আছে কিনা?

৫. সারদা তদন্তের খাতিরে হাইকোর্ট যে সিট গঠন করেছিল সেই সিটের আধিকারিকদের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে কিনা, আর থাকলেও কাদের সঙ্গে রয়েছে?

এই সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্ন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে আঁচ পাওয়া গিয়েছে। রাজীব কুমারকে জেরার জন্যে সিবিআইয়ের আরো একটি দল দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে শিলং পৌঁছেছে কাল। এছাড়া তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষকেও শিলংয়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সারদা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য সরকারের তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দলের হাতে গ্রেফতার হন কুণাল ঘোষ। এমনটাও শোনা যাচ্ছে, কুনাল ঘোষকে রাজীব কুমারের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!