পুলিশের লোগো দেওয়া “লকডাউন সোলজারের” টি-শার্ট পড়ে দেদার ভাঙছে লকডাউন! ঘুম উড়ছে প্রশাসনের কলকাতা রাজ্য May 18, 2020 করোনা ভাইরাসকে আটকাতে বর্তমানে বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন শিথিল হলেও, রেড জোনগুলোতে সেই লকডাউন আরও কড়া করা হয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও হাওড়ায় লকডাউন সোলজাররা পুলিশের লোগো লাগানো টি শার্ট পড়ে হোম ডেলিভারির পরিবর্তে কনটেইনমেন্ট এলাকায় বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়ানোয় তীব্র বিতর্ক তৈরি হল। বস্তুত, হাওড়া এলাকা রেড জোনে রয়েছে। এখানকার অনেক জায়গা কনটেইনমেন্ট জোনে রাখা হয়েছে। আর সেখান থেকেই বাসিন্দারা যাতে তাদের বাড়ির বাইরে না বেরোয়, তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। আর জনসাধারণকে এই ব্যাপারে কতটা সদর্থক বার্তা পৌঁছানো গেছে, তা দেখার জন্য মাঝেমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বাড়ির বাইরে না বেরোনোয় সাধারণ মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকেন, তার জন্য বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে খাবার। যেখানে ভলেন্টিয়ার নিযুক্ত করা হয়েছে। যাদের নাম দেওয়া লকডাউন সোলজার। কিন্তু এরকম সোলজাদের বিরুদ্ধেই এবার আইন না মানার অভিযোগ উঠল। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, হোম ডেলিভারি করার সময় হাওড়া সিটি পুলিশের লোগো যুক্ত একটি পোশাক তাদের দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই পোশাককে ব্যবহার করে অনেক লকডাউন সোলজার বাইক নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে লকডাউনের আসল উদ্দেশ্য। যেখানে সাধারন মানুষকে গৃহবন্দী থাকতে বলা হচ্ছে, সেখানে নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে হোম ডেলিভারি দেওয়ার নাম করে যেভাবে লকডাউন সোলজাররা বাইক নিয়ে ঘুরছেন, তা কি আদৌ যুক্তিসম্মত! এখন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকেই। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া পুলিশ। কারা এই ধরনের কাজ করছে, তা চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি নর্থের তরফ থেকে। আর লকডাউনের মুহূর্তে এই ধরনের কাজ অন্তত লকডাউন সোলজারদের কাছ থেকে আশা করা যায় না বলেই মত বিশ্লেষকদের। এখন কবে এই প্রবণতা কমে এবং যারা এই কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -