প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভাতা, ভিক্ষা, ভর্তুকি চলছে। রাজ্যে চাকরি নেই, শিল্প নেই, কিন্তু পিসি,ভাইপো আকাশে। আগে হেলিকপ্টারে মাসে ৫০ লক্ষ খরচ হত। এখন প্লেন আনা হয়েছে। এই রাজ্যের আদিবাসীদের জন্য কিছুই করেনি রাজ্য সরকার। বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক বক্তব্য রাখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানালেন, আদিবাসীরা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই আছেন। পশ্চিমবঙ্গ পরিণত হয়েছে একটি ভাতার রাজ্যে।বিরসা মুন্ডার জন্মদিন উপলক্ষে পদযাত্রা ও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল গতকাল। এই দিনটিকে জাতীয় গৌরব দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

বিজেপির পক্ষ থেকে আদিবাসী সমাজের প্রতি সম্মান ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ভগবান বিরসা মুন্ডা। নতুন প্রজন্মকে অনেক বড় বড় নেতা, স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম পড়ানো হয়েছে। কিন্তু এরকম একজন নেতা সম্পর্কে কিছুই জানেন না অনেকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরসা মুন্ডার জন্মদিনকে জনজাতির গৌরব দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এরপর আদিবাসীদের জোট বাঁধার পরামর্শ দিলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের আদিবাসীদের জন্য এই সরকার কিছুই করেনি।

শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে থাকেন যে, পড়াশোনার ব্যবস্থা তিনি করেছেন। কিন্তু কোথায় পরিকাঠামো? কোথায় বই? তিনি জানালেন, একটা নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে তোষণ করে থাকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদিবাসী ছেলেমেয়েদের চাকরির সুযোগ দেয়া হয় না, আদিবাসী শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না, আদিবাসীরা যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই আছে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে একটি ভাতার রাজ্যে পরিণত করা হয়েছে। আর এর সঙ্গে চলছে হত্যালীলা। তিনি জানালেন হিন্দুদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। এই লড়াইতে জিততেই হবে। যারা জিহাদী তাদেরকে জব্দ করতে হবে। তিনি জানেন রামচন্দ্রের তীর-ধনুক ছিল, বিরসা মুন্ডারও তাই।

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, মিড ডে মিলের চাল পর্যন্ত চুরি করেছে তৃণমূল সরকার। ভোট লুট করে লম্ফঝম্প করা হচ্ছে। শিক্ষা দপ্তর স্কচ আওয়ার্ড পেয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, টাকা দিলেই এমন পুরস্কার পাওয়া যায়। গোসাবা, দিনহাটায় ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে তৃণমূল। ভোটের শতাংশ দেখে তৃণমূলকে যদি পুরস্কার দেয়া হতো, তাহলে তিনি ভাবতেন কিছু একটা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের শিক্ষা একেবারে লাটে উঠে গেছে। কুড়ি মাস ধরে স্কুলের দরজা বন্ধ। বন্ধ দরজা খুলে বের হচ্ছে মদের বোতল আর সাপ। এই হল পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থা। আর পুরস্কার পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবে একদিকে আদিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ হবার বার্তা, অন্যদিকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একেরপর এক বিস্ফোরক বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী।