মদ্যপ অবস্থায় সমবায় সমিতিতে ভাংচুর চালানোর অভিযোগ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে! পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য June 7, 2020 বর্তমানে তৃণমূল শিবির থেকে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ পাচ্ছে। যেখানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে একজোট করে আগামী দিনের রাজনৈতিক লড়াই জেতার লক্ষ্যে পা বাড়াতে উদ্যোগী, সেখানে দলের মধ্যেই যেভাবে উচ্ছৃঙ্খলতা প্রকাশ পাচ্ছে প্রতিনিয়ত, তা যে যথেষ্টভাবে তৃণমূলের কপালে ভাঁজ ফেলবে সে বিষয়ে নিঃসন্দেহ বিশেষজ্ঞ মহল। এরকমই একটি উশৃংখল ঘটনা ধরা পরল কোতুলপুর গ্রামে। সম্প্রতি কোতুলপুরে স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কো অপারেটিভ সোসাইটিতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূল নেতার নাম সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক সমালোচনা। অন্যদিকে জানা গেছে, গরিব মানুষদের লোন দেওয়া হচ্ছে না বলেই ওই কো অপারেটিভ সোসাইটিতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে দাবী অভিযুক্তের। তবে এই ঘটনাটি একটি ভিডিওর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবং মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে পড়ে ভিডিওটি। এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে স্থানীয় প্রশাসন। অন্যদিকে এই ঘটনার পরেই কোতুলপুর এর রামকৃষ্ণ ফার্মার্স সার্ভিস কো-অপারেটিভ সোসাইটির পক্ষ থেকে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানানো হয়। কিন্তু পুরো অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন কারকবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা তথা লাউগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের আহ্বায়ক বাসুদেব হাজরা। অন্যদিকে কো-অপারেটিভ সমিতির ম্যানেজার পরেশ চন্দ্র দাস জানান, বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই বাসুদেব হাজরা নামক ওই ব্যক্তি কো-অপারেটিভ অফিসে হানা দেন অসংলগ্ন অবস্থায়। এমনকি তিনি চূড়ান্ত মাত্রায় মদ্যপ ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অফিসে হাজির হয়ে তিনি কর্মীদের সঙ্গে বচসা করেন এবং অশ্রাব্য গালিগালাজ দেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এর সাথে টেবিল থেকে কম্পিউটার তুলে ভেঙে দেন। ইন্টারনেটের তার ছিঁড়ে দেন। পুরো বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বাসুদেব হাজরা জানান, সমবায় সমিতি থেকে শুধুমাত্র আর্থিক সচ্ছল মানুষদের লোন দেওয়া হচ্ছে। গরীব অসহায় মানুষদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। তাই ওই সমিতির ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ জমা হচ্ছিল। তিনি নিজে কিছুই করেননি। সেকথাও জানাতে ভোলেননি তিনি। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের কোতুলপুর ব্লক কার্যকরী সভাপতি জানিয়েছেন, কোতুলপুর এর দীর্ঘদিনের তৃণমূল দলের কর্মী হলেন বাসুদেব হাজরা। এলাকাতেও তাঁর সুনাম যথেষ্ট। অন্যদিকে ওই কো-অপারেটিভ সমিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জমা হচ্ছিল সাধারণ মানুষের। কিন্তু বাসুদেব ঝামেলা করে ভাঙচুর করবেন এটা মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবুও পুরো বিষয়টি তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকাতেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বলে খবর। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে দলকে যেখানে কঠোর অনুশাসনে বেঁধে তৃণমূল নেত্রী বার্তা দিয়েছেন, কোন রকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবেনা দলে, সেখানে কোতুলপুর এর ঘটনাতেই স্পষ্ট হল যে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দলের নিচু স্তর পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। অন্যদিকে, এ ধরনের ঘটনা যত বেশি হবে ততই জনমানসে তৃণমূল শিবিরের ছবি খারাপ হবে বলে মনে করছেন রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল। কোতুলপুর এর ঘটনাটি প্রসঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই এখন লক্ষ্য সবার। আপনার মতামত জানান -