এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতেই বিপাকে জণ বারলা, বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল!

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতেই বিপাকে জণ বারলা, বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  প্রথম থেকেই তাকে নিয়ে বিতর্ক ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছিল। প্রথমে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তুলেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে সেই বিজেপি সাংসদ জণ বারলাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা করে দেওয়ার পরেই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কেন বিতর্কিত মন্তব্য করা এই ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হল? তাহলে কি বিজেপি উত্তরবঙ্গ ভাগের পরিকল্পনা করছে? এই প্রশ্ন তুলে ধরে ইতিমধ্যেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতারা।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার সদ্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বারলার বিরুদ্ধে উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ‌। যেখানে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমারী কল্যানী “জমি মাফিয়ার” অভিযোগ তুলে চাপে ফেলে দিলেন বিজেপি সাংসদকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে জলপাইগুড়ি বানারহাট ব্লকের চামুর্চি মোড় থেকে পলাশবাড়ী চা বাগান যাওয়ার পথে একটি মার্কেটিং কমপ্লেক্স তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সরকারি জমিতে নিজের প্রভাব খাটিয়ে তা দখল করেছেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। স্বাভাবিকভাবেই তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। যার ফলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ার সাথে সাথেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জন বারলাকে চাপে ফেলে দিয়ে এই রকম অভিযোগ তোলায় রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টিও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “একজন মানুষ, তিনি সাংসদ হোক আর মন্ত্রী হোক, তাকে আইন মেনে চলতে হবে। আমি বানারহাট ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বদের কাছ থেকে বেশকিছু দিন ধরেই অভিযোগ পাচ্ছিলাম যে, সেখানে একটি সরকারি জমি দখল করে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হচ্ছে। যার কাজ অনেক দূর পর্যন্ত এগিয়ে গিয়েছে। তাই আমরা জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলাম। জেলাশাসক আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানাবেন। তার রিপোর্ট পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আমরা নতুন করে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “জন বারলা একজন চা-শ্রমিক। তাকে মন্ত্রী করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই তৃণমূল এখন প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি করতে ময়দানে নেমেছে। এই বাড়ি তো একদিনে তৈরি হয়নি। তাহলে এতদিন প্রশাসন কি করছিল? তৃনমূল নেতারা প্রচুর সরকারি জমি বিক্রি করে নিজেদের পেটমোটা করেছেন। সেই ব্যাপারে প্রশাসন নিশ্চুপ কেন?”

অর্থাৎ জণ বারলা মন্ত্রী হতেই তাকে চাপে ফেলতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সরকারি জমি দখল করে তিনি কাজ করছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে যদিও বা এই ঘটনার পেছনে প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতি রয়েছে বলেই পাল্টা সোচ্চার হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। সব মিলিয়ে এই ব্যাপারে জন বারলার পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!