এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মুখ্যমন্ত্রীর সাধের সবুজসাথী প্রকল্পেও কাটমানি, হেভিওয়েট কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ, জোর চাঞ্চল্য

মুখ্যমন্ত্রীর সাধের সবুজসাথী প্রকল্পেও কাটমানি, হেভিওয়েট কংগ্রেস বিধায়কের অভিযোগ, জোর চাঞ্চল্য

দলে যে দুর্নীতি একেবারে জাঁকিয়ে বসেছে, তা লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূলের অন্দরে বিশ্লেষনে প্রমাণিত হয়ে গিয়েছে। আর তারপরই পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বজায় রাখতে কোনো প্রকল্পে কাটমানি খাওয়া বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর প্রশাসনিক প্রধানের এহেন হুঁশিয়ারির পরেই দিকে দিকে দুর্নীতিগ্রস্ত শাসক দলের নেতাদের পোল খুলতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল নেতাদের কাছ থেকে টাকা ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।

বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের আদ্যপ্রান্ত দুর্নীতিতে ভরা। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন তার দলই সবার আগে বিপাকে পড়বে। আর যতদিন এগোচ্ছে বিরোধীদের এই দাবিও ততই সত্যি হয়ে উঠছে। আর এবার কাটমানি নিয়ে বিতর্কের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের প্রকল্প সবুজসাথীতেও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা।

সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার এই সবুজ সাথী প্রকল্পে তিনটি কোম্পানির মাধ্যমে সাইকেল দিচ্ছে। যার জন্য একটি সাইকেল পিছু ৩২০০ – ৩৩০০ টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকার। কিন্তু সেই সাইকেল পাওয়ার পর সেটা ঠিক করতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ খরচ হচ্ছে। ফলে সাইকেলের দাম ২৪০০ থেকে ২৫০০ টাকার বেশি কোনোমতেই হতে পারে না।এদিকে সেই অসম্পুর্ন সাইকেল দোকানে কিনতে গেলে লাগবে ওই ২৪০০ থেকে ২৫০০। কিন্তু সরকার ও একটা সাইকেল কিনছে না। কোম্পানির ঘর থেকে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কিনছে যাকে বলে পাইকারি দরে। ফলে দাম আরো কম হবে। সুতরাং এই যে দেখানো হচ্ছে একটা সাইকেলের দাম ৩২০০ – ৩৩০০। বাকি টাকা কোথায় যাচ্ছে বা গেছে। এক একটা সাইকেলে কি পরিমান কাটমানি যাচ্ছে। তাই আমি বলছি ও বলেছি সবুজসাথীতেও দুর্নীতি হয়েছে। বাকি টাকাগুলো কোথায় গেল! এর পেছনে প্রচুর কাটমানি খাওয়া হয়েছে।এছাড়া সাইকেলগুলি কেনা হয়েছে উপরহমল থেকে জেলাস্বারে তো কেনা হয়নি ?”

আর কংগ্রেস বিধায়কের এহেন কথাকে ঘিরেই এবার তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তাহলে কি সত্যিই সবুজ সাথী প্রকল্প কাটমানি খাওয়া হয়েছে! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন একাংশ। তবে শুধু সবুজ সাথী প্রকল্পই নয়, রাজ্যের সর্বত্রই দুর্নীতি চলছে বলেও এদিন অভিযোগ করেন কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর আঁকা ছবি 1 কোটি 86 লক্ষ টাকা দামে কি করে বিক্রি হল, তা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তাকে।এদিন তিনি দাবি করেন যে পার্লামেন্টেও কাটমানি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এখানে কাটমানি নিয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলছেন যে ভালো ছবি হলে তা লোকে দাম দিয়ে কেনে তার দাম হয় ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। বলছে তার ট্যাক্স দিয়েছে। আজ পর্যন্ত কোনো রাশিদ দেখতে পেরেছে যে কে কিনেছে ছবিটা ?আমরা সাধারণ মানুষ তো শুধু এটুকুই জানতে চেয়েছি।

এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যের সর্বত্র দুর্নীতি চলছে। কোনোভাবেই এই সরকার এর থেকে বাচতে পারবে না।সস্তার প্রকল্প দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে এতদিন এরা মানুষকে বঞ্চিত করেছে। যার ফল এখন এদের পোয়াতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি ফেরত দাও বলে কাটমানি টাটিয়ে সিলমোহর দিয়েছেন। প্রত্যেকটা স্কিমে কাটমানি নিয়েছে দলের নেতারা। ফলে এর থেকে কিভাবে পরিত্রান পাবে তা আমার জানা নাই. সাধারণ মানুষ খেপে গেছে। ফলে তাদের বোঝানো সহজ হবে না। এতদিন ছিল সিন্ডিকেট, এবার এলো কাটমানি,আর তারপর আসবে ঘুষ। তারপর সারদা নারোদাতে আসল কথা বেরিয়ে আসবে। কেননা শেষের সে দিন বড় ভয়ঙ্কর।

তবে সুখবিলাস বর্মার এই অভিযোগকে অবশ্য নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী সাহসিকতা নিয়ে কাটমানির বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। যেখানে কোনো রং না দেখে সকল অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটাই সঠিক রাজধর্ম পালন। বিরোধীরা মিথ্যেই কুৎসা করছে।

তবে শাসকদলের পক্ষ থেকে যে দাবিই করা হোক না কেন, যেভাবে কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প সবুজসাথীতেও দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন, এখন তার এই দাবি যদি সত্যি হয়, তাহলে সরকারের শীর্ষস্তরে থাকা ব্যক্তিদের যে ঘুম উড়তে চলেছে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত প্রায় সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!