এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাতের অন্ধকারে গোপনে তৈরি হচ্ছে শ্মশান! বাসিন্দাদের তীব্র প্রতিবাদে ছড়ালো উত্তেজনা

রাতের অন্ধকারে গোপনে তৈরি হচ্ছে শ্মশান! বাসিন্দাদের তীব্র প্রতিবাদে ছড়ালো উত্তেজনা


এবার শ্মশান তৈরীর কাজে নিম্নমানের সরঞ্জাম ব্যবহারের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে এক ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে এই শ্মশান তৈরীর কাজ করছিলেন। আর তার খবর পেয়েই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। যার ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই শ্মশান নির্মাণের জন্য মোট আট লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। স্থানীয় একটি ঠিকাদার সংস্থাকে সেই কাজের বরাত দেওয়া হয়। অভিযোগ, ওই ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের দিয়ে রাত্রিবেলা এই শ্মশান তৈরীর কাজ করানো হচ্ছিল। যার ফলে তৈরি হয় চাঞ্চল্য। কেন রাত্রিবেলায় কাজ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন গ্রামবাসীরা। আর এর পরেই তারা দেখতে পান যে, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সেই শ্মশান তৈরীর কাজ চলছে। ফলে শুরু হয় বিক্ষোভ, প্রতিবাদ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে গ্রামবাসী নির্মল মুর্মু এবং নিত্যগোপাল ঘোষ বলেন, “এখানে যে কাজ হচ্ছে, তাতে কোনো নিয়ম-কানুন মানা হচ্ছে না। রাত বারোটার সময় শ্রমিকরা এসে কাজ করছে। রাতের অন্ধকারে কাজ হয় নাকি? সিমেন্টের বদলে মাটি ও বালি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপরে এডবেস্টার ছাউনি দেওয়ার কথা ছিল। তার বদলে টিন দেওয়া হয়েছে। সেই কারণে আমরা গ্রামবাসীরা সকলে মিলে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। লোকজনের চোখে যাতে এসব কারচুপি ধরা না পড়ে, সেজন্যই রাতের অন্ধকারে চুপিসারে কাজ চলছিল। আমরা চাই সঠিকভাবে দিনের বেলা প্রকাশ্যে কাজ করা হোক।” সত্যিই তো তাই! 8 লক্ষ টাকা বরাদ্দ হওয়া শ্মশানের কাজে কেন এভাবে রাত্রিবেলা চুপিসারে কাজ করা হচ্ছে?

এই প্রসঙ্গে ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে অবশ্য অন্য সাফাই দেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য, লকডাউনের জন্য কর্মী সংকট দেখা দিয়েছে। অল্পসংখ্যক কর্মীদের দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। সেজন্য রাতেই কাজ করানোর সুযোগ পাওয়া গিয়েছে। তবে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ পরে শ্মশানের কাজ করা নিয়ে কি উদ্যোগ নেওয়া হবে?

এদিন এই প্রসঙ্গে বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মৌসুমী রায় বলেন, “রাতের বেলা কাজ হচ্ছিল বলে গ্রামবাসীরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। এটা তো ঠিকই কথা। রাতের বেলা কেন কাজ হবে? এনিয়ে আমরা বুধবার সকালে এলাকায় কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। তবে ঠিকাদার সংস্থাকে আপাতত কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ফের কাজ শুরু হবে।” সব মিলিয়ে এবার রাতের অন্ধকারে শ্মশানের কাজ করা নিয়ে সাধারণের বিক্ষোভে বন্ধ হয়ে গেল সেই কাজ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!