এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তিন ভাগে বিভক্ত তৃণমূল? অভিমান বাড়ছে দলনেত্রীর বিরুদ্ধেই? দলের অন্দরে তুঙ্গে বিতর্ক

তিন ভাগে বিভক্ত তৃণমূল? অভিমান বাড়ছে দলনেত্রীর বিরুদ্ধেই? দলের অন্দরে তুঙ্গে বিতর্ক

বিগত বাম আমলে লড়াই করে আসা তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে যে নেতাকর্মীরা ছিলেন, ক্ষমতায় আসার পর তাঁরা কার্যত পেছনের সারিতে চলে গেছেন বলে মাঝেমধ্যেই তৃণমূলের অন্দরে নানা অভিযোগ শোনা যেত। এমনকি তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর যত দিন বেড়েছে, ততই বাম, কংগ্রেস এবং অন্যান্য দল থেকে আসা নেতাকর্মীদের ভিড়ে নব্য বনাম আদি তৃণমূলের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। যার জেরে বিভিন্ন সময়ে শাসক দলকে তীব্র বিপাকে পড়তে হয়েছে।

দলের ভেতরে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না এবং সকলেই কর্মী সমর্থক হিসেবে গণ্য হবেন বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হলেও কে বড় নেতা হবেন, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ একাংশের। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে দলের পুরোনো কর্মীদের পেছনের সারিতে ফেলে রাখার ফল যে তৃণমূলকে হারে হারে পোহাতে হচ্ছে, তা ভালই বুঝতে পেরেছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যার জেরে এখন প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অনেক সময়ই পুরনো কর্মীদের সামনের সারিতে নিয়ে আসার কথা বলতে শোনা গেছে স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

আর এরই মাঝে এবার সোশ্যাল সাইটে পুরনো তৃণমূল, নব্য তৃণমূল এবং তৎকাল তৃণমূল বলে তাদের বিবরণ দিতে শুরু করল দলেরই একাংশ। যা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সাইবার দুনিয়ায়। যেখানে দেখা গেছে, পুরনো তৃণমূল বলতে ক্ষয়াটে চেহারা, পদহীন এবং মিছিলের শেষ দিকে হাঁটা ঝাণ্ডা হাতে ব্যক্তিকে বোঝানো হয়েছে। অন্যদিকে নব্য তৃণমূল বলতে চকচকে চেহারা, নব্য পাঞ্জাবি পায়জামা, মঞ্চের সামনে ঘোরাফেরা করা ব্যক্তিদেরকে বোঝানো হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল সমর্থকদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এর পাশাপাশিই, তৎকাল তৃণমূল বলতে সোশ্যাল সাইটে নেতা-নেত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি আপলোড করা, গলায় সোনার চেন, হাতে বিদেশি ঘড়ি, সোনার ব্রেসলেট, এক হাতে আইফোন এবং অন্য হাতে আরেকটি দামি স্মার্ট ফোন, সব সময় সাথে গাড়ি থাকা ব্যক্তিদের সম্বোধন করা হয়েছে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট ঘোরাফেরা করতেই এখন শুরু হয়ে গিয়েছে চরম চাঞ্চল্য। পুরনো তৃণমূল কর্মীদের অনেকেই বলছেন, ক্ষমতায় আসার পর থেকে দল আমাদের ভুলেই গিয়েছিল। যারা সোনার চেন এবং কন্ট্রাকটারি কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকবে, তারাই দলের নেতা হয়েছিল।

তবে সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। এখন দলের ভরাডুবিতে তৃণমূল নেত্রী নব্য এবং তৎকালীনদের ভুলে ফের আদিদের প্রতি মনোযোগী হয়েছেন। তবে প্রয়োজনে বা দুঃসময়ে তাদের ব্যবহার করা হবে, আর সুসময় এলেই তাদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে অন্য দল থেকে আসা নেতাকর্মীদের বড় জায়গায় বসানো হবে, তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তৃণমূলের পুরনো নেতাকর্মীরা। তবে এই প্রসঙ্গে শাসক দলের বক্তব্য, পুরোনো, নতুন বলে কিছু নেই। তৃণমূলে সবাই কর্মী। নেত্রী একজন, তার নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

পাল্টা এই ব্যাপারে অভিমানী আদি তৃণমূলীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেত্রী হলেও, বামেদের বিরুদ্ধে লড়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনতে তাঁরা সেদিন কম ঘাম-রক্ত ঝড়াননি! তাই যদি একা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দল গড়া বা তার সাফল্য দাবি করেন, তাহলে তা মানা যায় না। কারণ দুর্দিনের কর্মীদের সাথে নিয়েই তিনি এই দল তৈরি করেছেন। তাই দলের সাফল্য সেই দুর্দিনের কর্মীদের ওপরই বর্তায়‌। কিন্তু ক্ষমতায় এসে যেভাবে তিনি সেই কর্মীদেরকে ভুলে গেছেন তার জন্যই লোকসভা ভোটে তৃনমূলের এই ভরাডুবি বলেই মত অভিমানী আদিদের একাংশের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!