এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বাংলায় ৬ আলকায়দা জঙ্গি জালে আসতেই চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু CBI-NIA-এর! আতঙ্কে চোরাকারবারীরা!

বাংলায় ৬ আলকায়দা জঙ্গি জালে আসতেই চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু CBI-NIA-এর! আতঙ্কে চোরাকারবারীরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সম্প্রতি মালদহে আল-কায়দা জঙ্গি সন্দেহে বেশকিছু যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর এরপরই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। আর মুর্শিদাবাদের পর এবার মালদহে শুরু হয়ে গেল সিবিআই এবং এনআইএ তৎপরতা। যার ফলে চরম আতংকের সঙ্গে দিন কাটাতে হচ্ছে মালদহের চোরাকারবারীদের। কখন কি হয়, তা নিয়ে বক্ষ দুরুদুরু করছে তাদের।

একাংশের মতে, বর্ষার মরসুমে মালদহ, মুর্শিদাবাদের মত জেলাগুলোতে গরু পাচার অনেকটাই বৃদ্ধি পায়। ফলে বর্তমানে সেই বর্ষা শুরু হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই কোমর বেঁধে পথে নেমেছিল এই চোরাকারবারীরা। কিন্তু হঠাৎ করেই মুর্শিদাবাদে ধরপাকড় শুরু হওয়ায় মালদহের বেশকিছু ব্যক্তির মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। আর এবার সীমান্ত এলাকার দুষ্কৃতীরা গা-ঢাকা দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে এখন সেই চোরাকারবারীরা রীতিমত আতংকে দিন কাটাতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মালদহ এবং মুর্শিদাবাদের বাংলাদেশ সীমান্ত পাচারকারীদের স্বর্গরাজ্য বলে পরিচিত। এখানে নানা সময় অভিযোগ উঠেছে, বিএসএফের একাংশের মদতে আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার চলে। শুধু তাই নয়, জালনোট, বেআইনি অস্ত্র, মাদক পাচার হয় বলেও অভিযোগ। সম্প্রতি সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আনা হলে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। জানা যায়, মালদহের বৈষ্ণবনগর এবং বামনগোলা-হবিবপুর সীমান্ত দিয়ে সব থেকে বেশি গরু পাচার হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় জলপথ থাকার কারণে গরুর গলায় বাস এবং কলার ভেলা বেঁধে নদীতে নামিয়ে দেওয়া হয়। আর তারপরেই সীমান্তের ওপারে অপেক্ষা করা পাচারকারীরা নদী থেকে তা তুলে নেয়। আর নদী দিয়ে গরু পাচার হওয়ার কারণে বিএসএফদের নজরে ঠিকমত আসে না‌। যার ফলে অতি সহজেই পাচারকারীরা এতদিন ধরে এই কাজটি করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিষয়টি বিএসএফ জওয়ানদের নজরে এসেছে।

আর এর পরেই ইংলিশবাজার থানা এলাকা থেকে 25 বছর বয়সী এক বাংলাদেশীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর সেই যুবককে জেরা করে নানা তথ্য জানতে পেরেছে পুলিশ। যেখানে তার সঙ্গে আরও তিনজন বাংলাদেশ থেকে হবিবপুর সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে বলে জানিয়ে দিয়েছে সেই যুবক। আর এই গোটা ঘটনাতেই আবার নতুন করে মালদহে পাচার প্রক্রিয়া রুখতে তৎপরতা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যার ফলে পাচারকারীদের ঘুম উড়তে শুরু করেছে বলে খবর।

গোটা প্রক্রিয়াকে আটকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে? এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “গত এক বছর ধরে জেলার বহু পাচারকারীকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। বেশ কয়েকজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো তাদের মত কাজ করছে। আমরাও সারা বছর ধরে সজাগ।” সব মিলিয়ে মুর্শিদাবাদের পর এবার মালদহে পাচারকারীদের অতি সক্রিয়তা বন্ধ করতে রাজ্য এবং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!