এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বাজেট অধিবেশনের প্রাক্কালে তীব্র রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত, একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর

বাজেট অধিবেশনের প্রাক্কালে তীব্র রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত, একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালকে কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাজেট অধিবেশনের পূর্বে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। আগামী ২ রা জুলাই রাজ্যপালের ভাষণের মধ্য দিয়ে বাজেট অধিবেশন শুরু হতে চলেছে বিধানসভায়। তার পূর্বে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তীব্র আকার ধারণ করেছে। গতকাল একাধিক বিষয়ে রাজ্যপালকে প্রবল কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বিধানসভায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, বাজেট অধিবেশনের ক্ষেত্রে মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বয়ানই পড়তে হবে রাজ্যপালকে। তাঁকে বিজেপির লোক বলেও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, বাজেট অধিবেশনের বক্তৃতার বয়ান নিয়ে রাজ্যপাল চিঠি দিয়েছিলেন নবান্নকে। যেখানে তিনি জানিয়েছিলেন যে, বয়ানের কপি সময় রেখে তাঁর কাছে পাঠাতে হবে। যাতে তিনি সেটা পড়ে বিবেচনা করে নিতে পারেন। এরপর উত্তরবঙ্গ সফরের পর আজ মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত বয়ানের বদল করা যাবে না। তাঁরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত, রাজ্যপালের ক্রীতদাস নন। সংবিধান মেনে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল ডাকতেই পারেন। কিন্তু সব সময় তাঁর সুবিধামত বেঁধে দিলে মুখ্যমন্ত্রীকে তা মেনে নিতে হবে, এমনটা নয়। পারস্পরিক সুবিধা অনুযায়ী তা ঠিক করা হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, আজ রাজভবনে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, আজ রাজ্যপালের কাছে যাবার তাঁর কোন প্রশ্নই নেই । অন্য কোনদিন তিনি যেতে পারেন। রাজ্যপাল যদি চা খেতে থাকেন, তবে তিনি যাবেন। ভাষণ নিয়ে কোনোরকম আলোচনা হবে না। এছাড়া মন্ত্রিসভার অনুমোদন করা ভাষণের শব্দবদল করার ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রীরও থাকে না। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন যে, সরকার বা মন্ত্রিসভা বক্তব্যের যে বয়ান তৈরি করে দেবে, তা হুবহু রাজ্যপালকে মেনে নিতে হবে, এমন কথা সংবিধানের কোথাও লেখা নেই। সাংবিধানিক দায়িত্ব কর্তব্যের বিচ্যুতি ঘটলে, রাজ্যপাল তা চিহ্নিত করতে পারেন। এরপর এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে? তা এখনই রাজ্যপাল জানাতে চান না। গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি আলোচনা, ভিন্ন মত মানেই সংঘাত নয়। তিনি সংঘাত চান না, তিনি সরকারের পক্ষেই রয়েছেন।

আবার, বিধানসভায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের প্রবেশের ওপর আপত্তি জানিয়েছেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, বিধায়কের সঙ্গে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিধানসভার চত্বরে আনা হয়, তাহলে স্থান সংকুলানের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এরপর এ বিষয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এই চিঠির জবাবে স্পিকার জানিয়েছেন যে, তাঁর সিদ্ধান্ত তিনি অপরিবর্তিত রাখবেন। যেহেতু এটি বিধানসভার অন্তরীণ ব্যাপার, এখানে স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের জন্য বিধানসভার বাইরে কোথাও ব্যবস্থা করে দেয়া হবে।

আবার উত্তরবঙ্গ সফর নিয়েও রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, রাজ্যপাল রাজ্যকে ছিন্নভিন্ন করার খেলায় মত্ত হয়েছেন। এমন রাজ্যপাল তিনি আগে কখনো দেখেননি। তিনি যতদিন থাকবেন সংবিধান মেনে দেখা করবেন, কথা বলবেন। তবে রাজ্যপালকে যাতে অপসারিত করা হয়, এ জন্য তিনি তিনটি চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের বিষয়টি ভেবে দেখা উচিত। রাজ্যপালকে তিনি বিজেপির লোক বলেও কটাক্ষ করেছেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি সংবিধান মেনে চলেন, তিনি মোটেই পক্ষপাত দুষ্ট নন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২০১৭ সালের পর থেকে পাহাড়ে কোনো নির্বাচন হয়নি। জিটিএকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন তথ্য দিতে। আইনে বলা আছে, রাজ্যপাল এ বিষয়ে রিপোর্ট চাইতেই পারেন। তিনি আইন মোতাবেক কাজ করেছেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!