এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পৌরসভা নিয়ে কড়া অবস্থান তৃণমূলের, নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে শাসক শিবির!

পৌরসভা নিয়ে কড়া অবস্থান তৃণমূলের, নয়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে শাসক শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং পৌরসভা নির্বাচনে জয়লাভ করতে এখন থেকেই সর্তকতা অবলম্বন করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। 2011 সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর যে সমস্ত পৌরসভার নির্বাচন হয়েছিল এবং বিপুল ভোটে সেই সমস্ত পৌরসভাগুলো দখল করেছিল শাসকদল, পরবর্তীকালে সেখানকার তৃণমূলের কাউন্সিলার থেকে শুরু করে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে দেখা গিয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বিধানসভা থেকে শুরু করে লোকসভা নির্বাচনে।

2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এলেও, অনেক পৌর এলাকায় সেভাবে লিড পায়নি শাসক দল। একইভাবে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনে অনেক পৌরসভা এলাকায় তৃণমূলের পিছিয়ে থাকা এবং বিজেপির এগিয়ে থাকা ঘাসফুল শিবিরের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর এর প্রধান কারণ যে দলেরই কাউন্সিলার এবং চেয়ারম্যানদের দুর্ব্যবহার ও দুর্নীতি, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মীরা। আর সেই কারণেই পৌরসভার নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত ঠিক না হলেও, প্রার্থী ঠিক করা থেকে শুরু করে প্রচারের রণনীতি ঠিক করা, সব ব্যাপারেই স্বচ্ছতা বজায় রেখে এগোতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।

বস্তুত, এবারের পৌরসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এমন কাউকে প্রার্থী করতে চাইছে না, যাকে নিয়ে বিরোধীরা অতি সহজেই প্রশ্ন তুলতে পারে। সেদিক থেকে স্বচ্ছ মুখকেই বেশিরভাগ পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে বলে খবর তৃণমূল সূত্রে। একাংশের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল বিপুল ভোটে জয়লাভ করে রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছে। কিন্তু ঘাসফুল শিবিরের মনে পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা রয়েছে।

কেননা 213 টি আসন তৃণমূল কংগ্রেস বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পরেও, ফলাফল পর্যালোচনা করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ পৌরসভাতে তৃণমূলকে পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ফলে আগামী দিনে পৌরসভা নির্বাচন হলে সেখানে বিজেপি তৃণমূলকে পেছনে ফেলে দিতে পারে বলে চিন্তা রয়েছে ঘাসফুল শিবিরের। আর সেই কারণেই এখন থেকে প্রার্থী চয়ন সহ অন্যান্য বিষয়ে সর্তকতা অবলম্বন করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিক থেকে অনেক বিদায়ী কাউন্সিলার থেকে শুরু করে চেয়ারম্যানরা টিকিট নাও পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে এটাও বলতে শুরু করেছেন, পৌরসভা নির্বাচনেও বিধানসভা নির্বাচনের মত তৃণমূলকে পরামর্শদাতার কাজ করবেন প্রশান্ত কিশোর। সেদিক থেকে একদম নীচুতলায় বসে কাকে কোন ওয়ার্ডের প্রার্থী করলে ভালো হয়, তার সমস্ত কিছু প্রশান্ত কিশোর ঠিক করে দেবেন বলে খবর। আর তা যদি হয়, তাহলে অনেক হেভিওয়েট পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না বলে নিশ্চিত একাংশ। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস পৌরসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার জন্য কোনো রকম খামতি রাখতে চাইছে না। কেননা 2024 সালে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে।

বিধানসভা নির্বাচনের পর দলকে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিস্তারলাভ করবার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাঁধের গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেদিক থেকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর রাজ্যের সংগঠন ধরে রাখার ক্ষেত্রে এবং প্রভাব বিস্তার করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পৌরসভা নির্বাচন বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা দখল করলেও, পৌরসভা নির্বাচনে যদি জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা যায়, তাহলে নিচতলায় সংগঠন চালাতে অনেকটাই সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে শাসক শিবিরকে‌।

আর সেই কারণেই এখন পৌরসভা নির্বাচনের দিকে মনোযোগী হতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। যদিও বা কবে পৌরসভা নির্বাচন হবে, তা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। কেননা করোনা ভাইরাস সম্পূর্ণরূপে বিলীন হয়নি। ফলে সেই ভাইরাসের আশঙ্কা কাটলেই পৌরসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন থেকেই স্থানীয় স্তরে জনসংযোগ থেকে শুরু করে কাকে প্রার্থী করা হবে, তার নেতৃত্বে লড়াই করার কাজ শুরু করে দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে দলীয় স্তর এবং সাংগঠনিক স্তরে স্বচ্ছতা বজায় রেখে পৌরসভা নির্বাচনের বৈতরণী পার হওয়ার ইচ্ছা রাখা তৃণমূল কতটা নিজেদের সাফল্য ধরে রাখতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!