বাংলাকে বিজেপি মুক্ত করতে বড়সড় পরিকল্পনা ত্বহার, জেনে নিন কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য November 21, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলা থেকে বিজেপি সরাতে এতদিন তৃণমূলের অনেক নেতা মন্ত্রিকেই বর্ত দিতে দেখা গিয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনে যাতে বাংলায় আবারও মমতা সরকারের শাসনভার কায়েম থাকে সেই নিয়ে বক্তব্য রাখতে শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। আর দেখেতে গেলে সেখানে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত বিজেপিকে হঠাতে তাই এবার মুখ খুলতে দেখা গেল ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকিকে। কাল তিনি বলেন, “বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। বাংলার সম্প্রীতি নষ্ট করতে চাইছে। ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে। বাংলার মানুষ ওদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দেবে। আগামী নির্বাচনে তৃণমূলই সরকার গড়বে। মমতা ব্যানার্জিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন।” তাঁর কথায়, বাংলায় রাজনীতি করা সোজা নয়। “রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ, নজরুলের মাটি এটা। এই পবিত্র জায়গায় বিজেপি যে রাজনীতি শুরু করেছে, তাতে ওরা আগামী নির্বাচনে ব্যর্থ হবে।” বাংলায় হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে থাকবে বলেই আশা রেখেছেন তিনি। অন্যদিকে, তিনি বলেন, ‘বিজেপি হিন্দু-মুসলিমের মধ্যে প্রাচীর তোলার চেষ্টা করছে। এই প্রাচীর এখানকার মানুষ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেবে। বাংলার পরিবেশ আলাদা। ওরা নির্বাচনের সময়ে প্রচুর টাকা খরচ করবে। তবে টাকা খরচ করেও বাংলা দখল করতে পারবে না।’ তাঁর কথায়, “বহিরাগতদের নিয়ে এসে বিজেপি সংগঠনের দায়িত্ব দিয়েছে। বাংলা তো এদের কাছে অপরিচিত। মনীষীদের নামই জানে না। আইনশৃঙ্খলা অন্য রাজ্যের তুলনায় যথেষ্ট ভাল। এখানে অশান্তি করতে চাইছে ওরা।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে এখানেই থেকে থাকেননি তিনি। দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে রাজ্যপাল, প্রত্যেককেই কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে। বস্তুত,দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘উনি বলেছেন গরুর দুধে নাকি সোনা পাওয়া যায়। ওঁর চিকিত্সার প্রয়োজন। পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়!’ শুধু তাই নয়, মিমকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মুসলিমদের ভোট কাটার জন্য ওদের আনা হয়েছে। একটা-দুটো আসন পেলেও পেতে পারে। আসাদউদ্দিন ওয়াইসির সঙ্গে আমি ছিলাম। দেখলাম, সরষের মধ্যেই ভূত। বিহারে ৫টা আসন পেয়েছে।” তাঁর কথায়, বহিরাগতরা নয়, ভোট বাংলার মানুষই দেবে। তাই তাঁর মতে, ফেট্টিবাঁধা লোকেরা লম্ফঝম্প করে তরোয়াল নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও ভোটে এর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছেন তিনি। সেইসঙ্গে রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বিজেপি নেতাদের মতো আচরণ করছেন। নিজের কাজ না করে সরকারের সমালোচনা করছেন।” তাঁর কথায়, রাজ্যপাল রোজ সকালে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে টুইট করছেন। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যপাল ভাবছেন ২০২১-এর নির্বাচনে বিজেপি জিতবে। এতে ওঁর উদ্দেশ্যটা বুঝতে পারলাম না। ওঁর তো বয়স হয়েছে। আরও কিছু পাওয়ার জন্য কি এসব করছেন?” ত্বহার কথায়, সব ধর্মের লোকেরা বাংলায় শান্তিতে বসবাস করছে। সেইসঙ্গে সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের পাশেই আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, আজও বাবরি মসজিদ ভাঙার দিনের ঘটনা কেউ ভুলতে পারেনি বলেই জানান তিনি। নির্বাচনের কথায় তাঁকে বলতে শোনা গেছে, ”কংগ্রেস-সিপিএম কোমায় চলে গেছে। অধীর চৌধুরি ও আবদুল মান্নান আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছিলেন। ওঁরা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে দেখা করেছেন। শুনলাম, আব্বাস বলেছেন নতুন দল করবেন।” তবে তাঁর মতে তিনি কিছুই করতে পারবেন না বলেই মনে করছেন তিনি। আপনার মতামত জানান -