এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > চাপ বাড়লো বিজেপি নেতাদের, পঞ্চপাণ্ডবের সামনে বসে দিতে হবে ইন্টারভিউ

চাপ বাড়লো বিজেপি নেতাদের, পঞ্চপাণ্ডবের সামনে বসে দিতে হবে ইন্টারভিউ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভোটের আগে বিজেপি বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দিয়েছে বিভিন্ন নেতাকে। যারা বস্তুত বাইরের রাজ্যের বলেই জানা যায়। এদের মধ্যে রয়েছেন মেদিনীপুরের দায়িত্বে মহারাষ্ট্রের পুণের বাসিন্দা সুনীল দেওধর, রাঢ়বঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বিনোদ সোনকার, উত্তরবঙ্গে উত্তরপ্রদেশের হরিশ দ্বিবেদী, কলকাতায় দিল্লির বাসিন্দা দুষ্মন্ত গৌতম ও মুম্বইয়ের বাসিন্দা বিনোদ তাওড়েকে নবদ্বীপের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল।

সেইসঙ্গে ২০২১-এর বিধানসভায় নির্বাচনে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে বিজেপির পর্যবেক্ষক করা হয়। এবং সহকারী পর্যবেক্ষক হিসেবে সামনে আসে অমিত মালব্যর নাম। এছাড়াও তাঁদের সঙ্গে অরবিন্দ মেনন ও শিবপ্রকাশের থাকার কথা জানা যায়। এরই মধ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক সুনীল দেওধরকে বুধবার উলুবেড়িয়ার একটি রিসর্টে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া, হুগলির নেতাদের নিয়ে রাজ্য সাংগঠনিক বৈঠক করতে দেখা যায়।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, এদিন দেওধর বাবু ওই চার জেলার নেতাদের প্রত্যেকের বক্তব্য শোনেন এবং লিখে নেন। আর সেখানেই তাঁদের কিছু ক্ষোভের কথাও দেওধরবাবু জেনেছেন বলেই জানা গেছে। সেই সঙ্গে উঠে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাও। জানা গেছে, এদিন বৈঠকে ছিলেন রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এখানে সুনীল দেওধর ছাড়াও বিনোদ তাওড়ে, বিনোদ সোনকার এবং দুষ্যন্ত গৌতম যথাক্রমে দলের মেদিনীপুর, নবদ্বীপ, রাঢ়বঙ্গ এবং কলকাতা সাংগঠনিক জ়োনের প্রত্যেক জেলার সভাপতি ও প্রাক্তন সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলছেন বলে জানা গেছে। যদিও এদের মধ্যে উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত হরিশ দ্বিবেদী অবশ্য বৃহস্পতিবারও রাজ্যে আসতে পারেননি বলেই জানা যায়।

তবে সেখানে তাঁর কাজ আপাতত রাজ্য বিজেপির নতুন এবং অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য দেখেছেন বলে জানা গেছে। আর এখানেই জানা গেছে, ওই কেন্দ্রীয় নেতারা জেলার প্রত্যেক নেতার কাছে তাঁর এলাকার বুথ সংগঠনের প্রকৃত অবস্থা কেমন, দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে কি না এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে কারা বেশি জনপ্রিয় ইত্যাদি বিষয়ে জানতে চাইছেন। আর এখানেই নাকি একান্তে কথা বলার সুযোগ পেয়ে জেলার নেতারাও মন খুলে তথ্য দিচ্ছেন বলেই তথ্য সূত্রে জানা গেছে।

আর সেখানেই উঠে আসতে দেখা গেছে কিছু দলীয় ক্ষোভের প্রসঙ্গ। জানা গেছে, তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের বেশি গুরুত্ব পাওয়া নিয়ে পুরনোদের ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। বিভিন্ন জেলার অনেকের মতেই নাকি ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য বিজেপি ১৭% ভোট পেয়েছিল পুরনো নেতা-কর্মীদের পরিশ্রমে। কিন্তু পরে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা সেই তৈরি জমির উপরে ভোট বাড়িয়ে বাহবা কুড়োচ্ছেন বলেই মনে করছেন কেউ কেউ।

ফলত তাঁদের মতে, ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন পুরনো নেতাদের অনেকেই। আর এতেই নাকি দলের ক্ষতি হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন অনেকে। যদিও কেন্দ্রীয় নেতারা কারও কথাতেই কোনও সিদ্ধান্ত জানাননি বলে জানা গেছে। তাঁরা কেবল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সব বক্তব্য লিখে নিয়েছেন বলে জানা যায়। সেইসঙ্গে এ দিন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা দলের নবনিযুক্ত রাজ্য পর্যবেক্ষক ও সহ-পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেছেন বলেও জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!