বাংলায় এবার ত্রাণবন্টনেও কি বড়সড় দুর্নীতির আশঙ্কা? জল্পনা বাড়ালেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ কলকাতা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য June 1, 2020 ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ইতিমধ্যেই লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা। যার প্রভাব পড়েছে নদীয়া জেলাতেও। সরকারের পক্ষ থেকে দুর্গতদের আর্থিক সাহায্য করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে বিভিন্ন জায়গায় সরকারের দেওয়া সাহায্য নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করছে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে খোদ শাসকদলের নেত্রী হয়ে দুর্নীতির ব্যাপারে সকলকে সতর্ক করে দিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সূত্রের খবর, শনিবার ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তায় এই তৃণমূল সাংসদ বলেন, “এই রাজ্যে সামুদ্রিক ঝড়ে যাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের জন্য কুড়ি হাজার টাকা করে এককালীন আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেই টাকা বিভিন্ন জেলায় পৌঁছাতে শুরু করেছে। নদীয়ায় টাকা পৌঁছেছে। আমি মানুষকে সতর্ক করছি, যদি কোনো ব্যক্তি আপনার কাছে এসে বলে 2000 টাকা দাও, তাহলে তোমার নাম তালিকাভুক্ত করব, এমন কাউকে একটাও পয়সা দেবেন না।” আর তৃনমূলের সাংসদ হয়ে মহুয়া মৈত্রের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এখন তৈরি হয়েছে জোর চাপানউতোর। বস্তুত, ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মোট নয়টি জেলার জন্য কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। দেড়শ কোটি টাকার মধ্যে নদীয়ার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে 17 কোটি টাকা। যে টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই টাকা নিয়ে যাতে কেউ দুর্নীতি করতে না পারে, তাহলে তার জন্য আগাম সকলকে সতর্ক করে দিলেন তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। তবে মহুয়াদেবী হঠাৎ এই ধরনের কথা বললেন কেন? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলছেন, আসলে মহুয়া মৈত্র নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই হয়ত এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। কেননা অতীতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প মানুষের কাছে পৌঁছে গেলে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে টাকা দিতে হত বলে অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। যার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার সেই রকম কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য আগেভাগে জনসাধারণকে সতর্ক করে দিলেন কৃষ্ণনগরে তৃণমূল সাংসদ বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এদিন এই প্রসঙ্গে নদীয়ার উপ কৃষি অধিকর্তা রঞ্জন রায় চৌধুরী বলেন, “কৃষকদের আলাদা করে এর জন্য কিছু করতে হবে না। যারা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন, তাদের নাম সংশ্লিষ্ট জেলার কৃষি দপ্তর কেবল সুপারিশ করবে। তাদের অ্যাকাউন্টে সহায়তার অর্থ চলে যাবে।” সব মিলিয়ে এবার রাজ্য সরকারের সাহায্যকৃত অর্থ নিয়ে যাতে কোনো স্তরে কোনো দুর্নীতি না হয়, তার জন্য ফেসবুক লাইভে এসে বার্তা দিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলে মত রাজনৈতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -