তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী আইনের নির্দেশে জীবনে প্রথমবার পা রাখলেন জেলের অন্দরে! তারপর? অন্যান্য কলকাতা বিনোদন রাজ্য September 26, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঘটনাটা ঘটেছিল গড়িয়াহাটে। প্রকাশ্যে অশ্লীল ইঙ্গিত আর উক্তি করেছিলেন একটি লোক। আর তার বিরুদ্ধেই প্রতিবাদে নেমে অভিযোগকারিণী জীবনে প্রথমবার পা রাখেন জেলের অন্দরে। তাও আবার পুরুষ আসামিদের জন্য যে সেলগুলি নির্ধারিত, সেখানেই দেখা গেল অভিযোগকারিণীকে। তবে অভিযোগকারিণী আর কেউ নন, যাদবপুরের ব্যস্ততম সাংসদ এবং অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এদিন চরম অস্বস্তিকর পরিবেশ নারী সুরক্ষার তাগিদেই শ্লীলতাহানীর অভিযোগে এক মদ্যপকে শাস্তি দিতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানা যায়। কিছুদিন আগে গড়িয়াহাটে প্রকাশ্যে অভিনেত্রীকে কটুক্তি করা একটি লোকের বিরুদ্ধে টিআই প্যারেডে সেই অভিযুক্তকে শনাক্ত করতেই শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এদিন বৃষ্টির মধ্যেও ঠিক সময় মতই তিনি পৌঁছে যান জেলের অন্দরে। আলিপুরের বিচারকের নির্দেশে প্রায় একঘন্টা সেখানে কাটান তিনি। জেলের ভিতর এমন পরিস্থিতিতে যেখানে পুরুষ বন্দীরা শেণ দৃষ্টিতে দেখছিলেন অভিনেত্রীকে, সেখানে অভিনেত্রীকে দেখা যায়নি বিন্দুমাত্র থমকে যেতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এক পুলিশ অফিসারদের কথায়, অনেক পুরুষও যেখানে ভয় পেয়ে যান, ভুল করে বসেন টিআই প্যারেডে, সেখানে ভ্রুক্ষেপ না করে একেবারে ঠিক আসামিকেই শনাক্ত করেছিলেন তিনি। জেলের ভিতর আইনি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ায় গর্বিত অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও। তাঁর কথায়, এটা তাঁর কর্তব্য। যেহেতু অভিযোগ তিনিই করেছিলেন, তাই বিচার প্রক্রিয়ায় যথাসম্ভব সাহায্য করা তাঁর নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। মানুষ চাইলে একটু সময় করে আইনি প্রক্রিয়ায় দোষীদের শাস্তি দিতেই পারে। কিন্তু এক্ষেত্রে অনেককেই ভয়ে পিছিয়ে যেতে দেখা যায়। শহরকে নিরাপদ রাখতে তাই নিজের ব্যস্ততম সময় থেকেও সময় বের করে তিনি এমন কাজ করেছেন বলে জানা যায়। অন্যদিকে এর আগে কোর্টে গিয়ে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও জানা গেছে। তবে এদিন জেলে গিয়ে তাঁর জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি বলেন, একটা পুরুষ প্রধান জেলে এভাবে গিয়ে আসামীকে শনাক্ত করাটা একটু অস্বস্তিকর হলেও আইনের জন্য তা করেছেন তিনি। অন্য অভিযোগকারীর জন্য যা ব্যবস্থা তাঁর জন্যও সেটা থেকে আলাদা কিছু ছিল না। তাই জেলের ভিতরে গিয়ে টিআই প্যারেডে শনাক্ত করতে হত তাঁকেই। আইনকে সম্মান জানানোর সুযোগ পেয়ে নিজেকে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন বলেও জানান তিনি। তবে ট্যাক্সি চালকের চরম দুর্ব্যবহার ও শ্লীলতাহানি মামলায় পুলিশি তদন্তে সহযোগিতা করতে ঘটনার চারদিনের মাথায় কোর্টে গিয়ে বিচারকের কাছে তিনি জবানবন্দিও নাকি আগেই দিয়ে এসেছেন। আপনার মতামত জানান -