এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > “অহংকার নয়, মানুষই শেষ কথা” স্বয়ং নেত্রীকেই কি খোঁচা দিলেন অভিষেক ? কটাক্ষ বিরোধীদের!

“অহংকার নয়, মানুষই শেষ কথা” স্বয়ং নেত্রীকেই কি খোঁচা দিলেন অভিষেক ? কটাক্ষ বিরোধীদের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট– মাঝেমধ্যেই বিরোধীরা দাবি করেন, বিরোধী নেত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন ছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর তিনি আমূল বদলে গিয়েছেন। এখন তার মধ্যে সব সময় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার মানসিকতা চলে এসেছে। শুধু তাই নয়, বিরোধী নেত্রী থাকার সময় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বিন্দুমাত্র অহংকার ছিল না, এখন তার মধ্যে পরোতে পরোতে অহংকারের প্রতীক চিহ্ন দেখতে পাওয়া যায়। তবে রাজনীতিতে যা হয়, ঠিক সেভাবেই বিরোধীদের এই দাবিকে বারবার নস্যাৎ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

কিন্তু এবার দলীয় অধিবেশন কর্মসূচিতে কি প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে সূক্ষ্মভাবে নিজের দলের দিকেই বার্তা ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! এদিন মুর্শিদাবাদে দলীয় অধিবেশন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে “অহংকার নয়, গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে” বলে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে বিরোধীরা অবশ্য বলছেন, রাজনীতিতে তো কটাক্ষ করতেই হবে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন অভিষেকবাবু।

তবে তিনি সূক্ষ্মভাবে এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তার নিজের দলের নেত্রী এবং দলের অন্যান্য নেতারা যারা অহংকারে ডুবে রয়েছেন, তাদেরকেও হয়তো বার্তা দিতে চেয়েছেন। কারণ দলীয় অধিবেশনে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখার চেয়ে নিজের দলের শৃঙ্খলা পালন করা বেশি জরুরী। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য নিয়ে তার দলের নেত্রী এবং নেতাকর্মীদের ভাবা উচিত বলেই পাল্টা আক্রমণ করছে বিরোধীরা। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে।

 

সূত্রের খবর, এদিন মুর্শিদাবাদের দলীয় অধিবেশন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়‌। যেখানে তিনি বলেন, “গণতন্ত্রে অহংকার নয়, মানুষই শেষ কথা বলে। আজকে যিনি প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, তিনি ভাবছেন আমার আকাশে পা এবং মাথা দুটোই রয়েছে। তবে মানুষ যদি মনে করে, তাহলে আপনাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে নীচে নামিয়ে দেবে।” আর এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, মানুষ কি করবে, সেটা নির্বাচনে প্রতিফলিত হবে। তবে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় বড় কথা বলছেন, তার দল কতটা অহংকারে ডুবে রয়েছেন, সেদিকে তিনি মনোযোগী হয়েছেন কি!

বিরোধী নেত্রী থাকার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে যে সমস্ত প্রতিচ্ছবি বাংলার মানুষ লক্ষ্য করেছে, এখন সেই সমস্ত প্রতিচ্ছবি লক্ষ্য করা যায় কি? বিরোধীদের দমনপীড়ন করা থেকে শুরু করে কণ্ঠরোধ করা, এক সময়কার বিরোধী নেত্রীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর যে আমূল পরিবর্তন, তা কি অহংকারের প্রতিচ্ছবি নয়! ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যার ফলে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্য হয়তো তার দলের ক্ষেত্রেই চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ালো। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে গিয়ে অহংকার নিয়ে যে প্রতিক্রিয়া দিলেন, তাতে কি তার দলের দুর্নীতিতে ডুবে থাকা নেতা-নেত্রীরা, বলা বাহুল্য, অহংকারী ডুবে থাকা শীর্ষস্তরের ব্যক্তিরাই বেশি চাপে পড়লেন না! ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!