এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > নির্বাচনের সকালে মিলল বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ, তীব্র চাঞ্চল্য নন্দীগ্রামে

নির্বাচনের সকালে মিলল বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ, তীব্র চাঞ্চল্য নন্দীগ্রামে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে চলছে আজ দ্বিতীয় দফার বিধানসভা নির্বাচন। 30 টি আসনে নির্বাচন চলছে। টানটান উত্তেজনা অব্যাহত। তবে সব থেকে বেশি উত্তেজনা রয়েছে আজকের হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামকে ঘিরে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রথমবার লড়াইয়ের ময়দানে। পাশাপাশি নন্দীগ্রামে সংযুক্ত মোর্চার পক্ষ থেকে মীনাক্ষী মুখার্জিও এই প্রথমবার টক্কর দেবেন দুই হেভিওয়েট নেতা এবং নেত্রীকে। কিন্তু এর মধ্যেই নন্দীগ্রামে তীব্র চাঞ্চল্য। নির্বাচনের দিন সকালবেলাতে এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায়। যথারীতি এই মৃত্যুর জন্য বিজেপি তৃণমুলকেই দায়ী করেছে।

অভিযোগ উঠেছে, বুধবার রাতে উদয় শঙ্কর দোবে নামক এক বিজেপি কর্মীকে খুনের হুমকি দেওয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। আর সেই রাতেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামে পূর্ব ভেকুটিয়ার বাসিন্দা উদয়শংকর দোবে বিজেপির সক্রিয় কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত ছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, বারবার এই বিজেপিকে তৃণমূলের হুমকির মুখে পড়তে হতো। রাস্তাঘাটে হেনস্তা করা হতো মৃতের পরিবারকে। মৃতের পরিবার অভিযোগ জানিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে একদল তৃণমূল কর্মী তাঁদের বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়ে আসে ভোট দিতে গেলে প্রাণ যাবে বলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

খুব স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত আতঙ্কে ভুগছিলেন উদয়শংকর। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়িতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবে নন্দীগ্রামে ভোটের দিন সকালে বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধার নন্দীগ্রামের রাজনীতিতে অন্য মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে পথে নেমেছেন এই ঘটনার প্রতিবাদে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, তৃণমূলের হুমকির চোটে তাঁরা ভোট দিতে যেতে পারছেন না। অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়েছে।

তাঁদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উক্ত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। মানসিক অবসাদের থাকার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। এর সাথে রাজনীতির কোন যোগ নেই। পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দেহ উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম কড়া নিরাপত্তায় মোড়া রয়েছে। 144 ধারা জারি রয়েছে সেখানে। যেকোনো রকম হিংসা রুখতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন। এই অবস্থায় নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মীর মৃত্যু যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। আপাতত নজর পুলিশি তদন্তের দিকে।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!