এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেতা চিঠি পাঠিয়ে ফেরত চাইলেন পদ! তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিত?

তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া নেতা চিঠি পাঠিয়ে ফেরত চাইলেন পদ! তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ইঙ্গিত?


প্রায় বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এবার সেই সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতাই জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে নিজের পদ ফিরে পাওয়ার আর্জি জানালেন। অনেকেই হয়ত বা হতচকিত হচ্ছেন যে, তৃণমূল নেতা হিসেবে কেন জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে পদ ফিরে পাওয়ার আবেদন করা হবে? বাস্তবটা একটু অন্যরকম। বলা বাহুল্য, কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সরকারি আধিকারিককে মারধরের অভিযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল দিবাকর জানাকে।

পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদও খোয়াতে হয়েছিল তাকে। আর এরপরই গত 17 ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ওই পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সেখানকার সহ-সভাপতি শোভা সাহুকে। তারপর কেটে গেছে প্রায় তিন মাস। বর্তমানে সেই দিবাকর জানা আদালতের নির্দেশে জামিন পেয়ে গিয়েছেন। আর এবার জামিন পাওয়ার সাথে সাথেই জেলা শাসকের কাছে নিজের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদ ফিরে পাওয়ার জন্য চিঠি আবেদন করায় তীব্র গুঞ্জনের সৃষ্টি হল।

কেন হঠাৎ কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরকারি আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় শ্রীঘরে থাকা দিবাকরবাবু ছাড় পেতেই তিনি আবার তার পদ ফিরে পাওয়ার জন্য জেলা শাসকের কাছে আবেদন করছেন? এদের এই প্রসঙ্গে সেই দিবাকর জানা বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অবর্তমানে সহ-সভাপতিকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন জেলাশাসক। কিন্তু পঞ্চায়েতের আইন অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব এনে আমাকে সভাপতি পদ থেকে সরানো হয়নি। পঞ্চায়েত আইন মেনেই আমি জেলা শাসকের কাছে চিঠি দিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব ফেরত দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু জামিন পেয়ে বেরোনোর সাথে সাথেই যেভাবে তিনি দলকে উপেক্ষা করে সরাসরি জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে পদ ফিরে পাওয়ার আবেদন করলেন, তা নিয়ে দলের অনেকেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে শহীদ মাতঙ্গিনী ব্লক তৃণমূলের আহবায়ক শরৎ মেট্যা বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। জেলা নেতৃত্বকেও জানিয়েছি। সাসপেন্ড থাকা দিবাকরকে যাতে সভাপতি পদের দায়িত্ব না দেওয়া হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিবাকরবাবু ছাড়া পাওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে তিনি নিজের সরকারি পদ ফিরে পাওয়ার জন্য জেলাশাসককে চিঠি দিলেন, তাতে তৃণমূল এখানে অনেকটাই চাপে পড়ল। এবার নিয়ম অনুযায়ী যদি দিবাকরবাবুকে না সরানো যায়, তাহলে তিনি তার পদ দখল করতে চেষ্টা চালাবেন। যার ফলে আরও চাপে পড়তে হতে পারে রাজ্যের শাসক শিবিরকে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এই ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্ব কি পদ্ধতি অবলম্বন করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!