এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > বীরভূমে “ডিসাইডিং ফ্যাক্টর” হতে চলেছে সংখ্যালঘু ভোট, কোমর বেঁধে আসরে নামছে তৃণমূল

বীরভূমে “ডিসাইডিং ফ্যাক্টর” হতে চলেছে সংখ্যালঘু ভোট, কোমর বেঁধে আসরে নামছে তৃণমূল

বর্তমানে তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি লোকসভা আসনই যাতে নিজেদের দখলে রাখা যায়, তার জন্য যেমন ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক দল, ঠিক তেমনই হিন্দু ভোটকে একত্রিত করতে তৎপর হয়ে পড়েছে বিরোধী দল বিজেপিও। তবে হিন্দু ভোট যদি বিরোধীদের দিকে চলে যায়, তাহলে শাসকের জয়ে এখন পাখির চোখ করা হচ্ছে সেই সংখ্যালঘুদের ভোটকেই।

সূত্রের খবর, বীরভূমে প্রায় 35 শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। আর সেই ভোটকেই এবার নিজেদের বাগে আনতে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল। এমনকি এই ব্যাপারে বীরভূমের দীর্ঘদিনের কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মিকে যেমন নিজেদের দলে টেনেছে শাসক দল, ঠিক তেমনি সেই জিম্মি সাহেবকে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান করেও সংখ্যালঘুদের সমর্থন নিজেদের দিকে আনতে সক্ষম হয়েছে ঘাসফুল শিবির বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

তবে শুধু সংখ্যালঘু মুখকে দলে টানাই নয়, রাজ্যে সংখ্যালঘুদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলো চালু করেছেন, তা তুলে ধরে নিজেদের ভোটব্যাংককে শক্ত করতে চাইছে তৃণমূল। কিন্তু বীরভূমে সংখ্যালঘু মানুষদের প্রভাব ঠিক কী রকম রয়েছে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, 2011 সালের জনগণনা অনুযায়ী দেখা গেছে, বীরভূমের মুরারই 1 ব্লকে 56.9 শতাংশ, মুরারই 2 ব্লকে 73.69 শতাংশ, নলহাটি 2 ব্লকে 68.25 শতাংশ, নলহাটি 1 ব্লকে 47.49 শতাংশ, রামপুরহাট 2 ব্লকে 47.12 শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজনেরা রয়েছেন। তবে এই সংখ্যালঘু ভোট নিজেদের দিকে রাখার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী সমস্ত রাজনৈতিক দলই। এদিন এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুখ সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “সংখ্যালঘুরা কোনোদিনই নিজেদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত করে বিজেপিকে ভোট দেবে না। বরঞ্চ বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস ও বাম শিবিরে থাকা সংখ্যালঘু ভোটও এবার আমরা পাব।”

এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির সহ সভাপতি শুভাশিস চৌধুরী বলেন, “মোদিজীর নানা প্রকল্পে সব সম্প্রদায়ের মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। সংখ্যালঘু পরিবারগুলো ভালো সাড়া দিচ্ছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বীরভূম জেলার সিপিএমের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মন বলেন, “তৃনমুল যে সংখ্যালঘু মানুষদের ভাওতাবাজি দিয়েছে তা সকলে ধরে ফেলেছে। বামপন্থীরাই যে একমাত্র সংখ্যালঘুদের পাশে থাকে তা প্রত্যেকে জানে।”

তবে নানা দল সংখ্যালঘু ভোট তাদের দখলে থাকবে বলে নানা দাবি করলেও শেষ পর্যন্ত বীরভূমের এই বিপুল শতাংশ সংখ্যালঘুদের সমর্থন কার দিকে যায় তা দেখবার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে আগামী 23 মে পর্যন্ত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!