এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার দলের বীভৎস খুনের রাজনীতি! ভয়ংকর তথ্যে চমকে দিলেন শুভেন্দু !

মমতার দলের বীভৎস খুনের রাজনীতি! ভয়ংকর তথ্যে চমকে দিলেন শুভেন্দু !


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কিছুদিন খুনের রাজনীতি বন্ধ ছিল রাজ্যে। কিন্তু আবার বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে সেই দৃশ্য সামনে এলো। যেখানে এক বিজেপি কর্মীর রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই আপনারা সকলেই জানেন যে, এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তবে তার পাশাপাশি তিনি এই মৃত্যু নিয়ে এমন এক তথ্য দিলেন, যাতে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, কেউ বা কারা জোর করে মৃত্যু মুখে ঠেলে দিয়েছে এই শুভদীপ মিশ্রকে। যেহেতু শুভদীপ মিশ্র বিজেপির সঙ্গে জড়িত ছিল, তাই এর পেছনে শাসকদলের চক্রান্ত রয়েছে, এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না একাংশ। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীরা বলছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের খুনের রাজনীতি আবার শুরু হয়ে গেল রাজ্যে।

প্রসঙ্গত, এদিন শুভদীপ মিশ্রের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। যেখানে দেখা যায়, গাছে তিনি ফাঁস লাগিয়ে রয়েছেন। তবে আশ্চর্যজনকভাবে তার হাত দুটো বাধা ছিল। আর তাতেই সন্দেহ তৈরি হয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার। তার স্পষ্ট দাবি, যদি কেউ নিজের ইচ্ছাতেই মৃত্যুবরণ করবেন, তাহলে তিনি দুটো হাত এভাবে বেঁধে থাকতে পারেন না। তাই এটাতেই স্পষ্ট যে, এর পেছনে তৃণমূলের একাংশের চক্রান্ত রয়েছে। ফলে তৃণমূল যতই নিজেদের দিক থেকে “দোষ নেই” বলে দাবি করুক না কেন, এই মৃত্যু নিয়ে যত সময় যাচ্ছে, ততই যে তারা অস্বস্তিতে পড়ছেন, তাতে দ্বিমত নেই সমালোচকদের মধ্যেও।

বিজেপির দাবি, যদি অন্য কোনো কারণে শুভদীপ মিশ্রের মৃত্যুই হত, তাহলে তার হাত বাধা থাকত না। কিন্তু তাকে জোর করে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এই তদন্ত কোনোমতেই পুলিশ দিয়ে করানো সম্ভব নয়। এর পেছনে কেউ বা কারা জড়িত। শাসক দলের প্রতিহিংসা রয়েছে। তাই সিবিআই দিয়ে তদন্ত হলেই প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে। আর তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের খুনের রাজনীতি এবং হিংসার রাজনীতি প্রকাশ্যে আসবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের একমাত্র লক্ষ্য, যে সমস্ত জায়গায় তৃণমূল বেগ পাচ্ছে, যেখানে তৃণমূলের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছেন বিজেপি কর্মীরা, সেখানেই তাদের কেস দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর কোনোভাবেই যখন বিজেপিকে আটকানো সম্ভব হচ্ছে না, তখন অনেক বিজেপি কর্মীকেই মৃত্যু মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বাঁকুড়াতেও এদিন সেই ঘটনাই ঘটেছে। বিরোধীদের বক্তব্য অবশ্য তেমনটাই। তা না হলে কেউ যদি স্বেচ্ছামৃত্যুই গ্রহণ করে, তাহলে গলায় ফাঁস লাগানোর সময় তার দুটো হাত বাঁধা থাকবে না। আর এতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, কেউ বা কারা জোর করে এই বিজেপি কর্মীকে ফাস লাগাতে বাধ্য করেছে এবং তার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে‌। তাই সঠিক তদন্ত হলে শাসক দলের হিংসাত্মক রাজনীতি প্রকাশ্যে আসবে। শুভেন্দুবাবুর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!