এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার নাকেকান্নার দিন শেষ, চলতি মাসেই খেলা দেখাবে বিজেপি! হুঙ্কার শুভেন্দুর!

মমতার নাকেকান্নার দিন শেষ, চলতি মাসেই খেলা দেখাবে বিজেপি! হুঙ্কার শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-মিথ্যা কথা বলা এবং নিজের বিরুদ্ধে থাকা মানুষজনকে খাটো করাই চিরকালের স্বভাব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। বারবার তিনি বাংলার মাটিতে একটা জিনিস প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি তার সরকারকে টাকা দিচ্ছে না! তারা নাকি বাংলার উন্নয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে? কিন্তু কেন্দ্র টাকা দেওয়ার পরেও, সেই টাকা নিয়ে নয়ছয় করেছে রাজ্য সরকার। আর সেই কারণেই হিসাব আগে দেওয়া হবে, তারপরেই কেন্দ্র টাকা ছাড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছে। আর এতেই গাত্রদাহ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি বঞ্চনা, বঞ্চনা করে চেঁচামেচি শুরু করেছেন। কিন্তু নিজের রাজ্যের মানুষ তো বঞ্চিত। সেদিকে কেন নজর নেই এই মানবদরদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? তাই তিনি কেন্দ্রের ঘাড়ে বঞ্চনার অভিযোগ চাপালেও, এবার তার নাটক ধরতে ময়দানে নামছে রাজ্য বিজেপি। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন যে, নভেম্বর মাসের শেষে বিজেপির একটি কর্মসূচি রয়েছে। যেখানে বাংলার যারা বঞ্চিত মানুষ, যাদের কাছে উন্নয়নের ছিটেফোঁটাও পৌছয়নি, সেই সমস্ত সাধারণ মানুষকে নিয়ে তারা একটি কর্মসূচি করবেন। এদিন আবারও বিধানসভার গেট থেকে সেই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু।

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভার গেটে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই তিনি স্পষ্ট করেন, চলতি মাসের শেষে বিজেপির একটা মেগা রেলি হবে। আর সেখানেই বিজেপি দেখিয়ে দেবে, এই সরকারের আমলে কত মানুষ বঞ্চিত! আবাস যোজনা থেকে শুরু করে বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, ভিলেজ পুলিশ সহ বিভিন্ন স্তরের অনেক মানুষ বঞ্চিত রয়েছে। তাই তাদের নিয়ে বিজেপি এই রাজ্য সরকারের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে যে, কারা রাজ্যের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছে! মুখ্যমন্ত্রী বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি রাজ্যের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে! কিন্তু কেন্দ্র নয়, মানুষের টাকা নিয়ে মানুষকে বিপদে ফেলে এই রাজ্যের সরকার অর্থনৈতিক তছরুপ করছে, তা প্রমাণ করতে চলতি মাসেই বিজেপি যেভাবে ময়দানে নামছে, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর সততার প্রতীকের এই নাটকের মুখোশ খুলে যাবে বলেই দাবি একাংশের।

বিজেপির দাবি, টাকা নেবেন মুখ্যমন্ত্রী, অথচ সেই টাকায় মানুষের উন্নয়ন করবেন না। সেই টাকা চুরি করে নিজের দলের শ্রীবৃদ্ধি করবেন, নিজের সম্পত্তি বাড়াবেন। এই তো এই রাজ্য সরকারের শাসকদলের প্রধান ব্যক্তির কাজ। পিসি-ভাইপো মিলে গোটা রাজ্যের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছেন। তাই এই পরিস্থিতিতে বিজেপিও ময়দানে নেমে দেখিয়ে দিতে চায় যে, রাজ্যের মানুষের সঙ্গে কারা প্রকৃত বঞ্চনা করছে! কারা রাজ্যের মানুষকে শোষণ এবং শাসন করছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী যে মিথ্যাচার করছেন, তার পর্দাফাঁস হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বরাবরের স্বভাব, নিজে কাজ না করে অন্যের ওপর দোষ চাপানো। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে তো টাকা দিতে তৈরি। কিন্তু রাজ্য যদি দুর্নীতি করে হিসাব না দেয়, তাহলে সেই টাকা দিয়ে কি লাভ? বারবার মানুষের টাকা নয়ছয় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজার চেষ্টা করছেন। আর এই চালাকি কেন্দ্র ধরে ফেলেছে এবং টাকা দিচ্ছে না বলেই আজকে মুখ্যমন্ত্রীর বঞ্চনা-বঞ্চনা করে এই চিৎকার শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তিনি যেভাবে রাজ্যের সিংহভাগ মানুষকে বঞ্চিত করছেন, তার বেলা? তবে রাজ্যের এই চালাকি এবং মুখ্যমন্ত্রী এই নাকে কান্নার দিন এবার শেষ হতে চলেছে। বিজেপি যে কর্মসূচি চলতি মাসে নিচ্ছে, তাতেই বঞ্চনার যে চিৎকার, চেঁচামেচি মুখ্যমন্ত্রী করেছেন, তা যে ভাঁওতা, সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!