এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > “দিদির” রাগের কারণ সাংবাদিক বৈঠকে ফাঁস করলেন অমিত শাহ, 2011 তুলে বাড়ালেন অস্বস্তি

“দিদির” রাগের কারণ সাংবাদিক বৈঠকে ফাঁস করলেন অমিত শাহ, 2011 তুলে বাড়ালেন অস্বস্তি


এবারের লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সাত দফায় নির্বাচন করা নিয়ে প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীদের। এমনকি সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক বাংলার বর্তমান পরিস্থিতিকে 10 বছর আগের বিহারের সঙ্গে তুলনা করায় তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। ক্ষোভে ফুঁসে সেই অজয় নায়েকের বিরুদ্ধে সরব হন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা।

অজয় নায়েকের এহেন মন্তব্যের পরই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হয়ে সমান্তরাল প্রশাসন চালানোর অভিযোগ তোলেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কমিশন বনাম রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের এহেন বাকযুদ্ধে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। আর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কমিশনের বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্যের পরই এবার গতকাল সকালে কলকাতায় এসে একটি অভিজাত হোটেলের সাংবাদিক সম্মেলন করে কড়া ভাষায় রাজ্যের শাসক দলের সুপ্রিমোকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।

এদিন তিনি বলেন, “মমতা দিদি হয়তো 2011 সালের কথা ভুলে গিয়েছেন। ওই সময়ে ওনাকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন সুরক্ষা দিয়েছিল। তখনও কমিশনের নির্দেশে অনেক বহু পুলিশ অফিসারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন বামেদের সরকার ছিল, তাও ওরা বলেনি যে সমান্তরাল সরকার চলছে। কোথাও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। শুধুমাত্র এই রাজ্যেই তা হচ্ছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যের শাসক দলের ক্ষমতায় আসার পেছনে যে 2011 সালের নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছিল, এদিন সেই নির্বাচনের কথা তুলে ধরে কেন তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো বিরোধিতা না করলেও এই 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনি বিরোধিতা করছেন! সেই প্রশ্ন তুলে দিয়ে পাল্টা তৃণমূল নেত্রীকেই চাপে ফেলে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

এদিকে এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সাংবাদিকদের তরফ সেই অমিত শাহকে প্রশ্ন করা হয় যে, যদি কেন্দ্রে বিজেপি এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পায়, তাহলে কি তৃণমূলের তারা সমর্থন নেবেন? আর এই প্রশ্ন শুনেই মেজাজ হারিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “এই ধরনের কোনো সম্ভাবনাই তৈরি হবে না। এবারে নরেন্দ্র মোদী গতবারের তুলনায় আরও বেশি আসন পাবেন।”

অন্যদিকে সারদা, নারদা সহ বিভিন্ন চিটফান্ড কেলেঙ্কারি নিয়ে ফের আরও একবার তদন্তের কথা বলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাপ সৃষ্টি করেন অমিত শাহ। পাশাপাশি ক্ষমতায় আসলে সংসদে নাগরিকত্ব বিল পাস করা হবে বলেও এদিনের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে জানিয়ে দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সব মিলিয়ে এবার কলকাতায় পা রেখেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে 2011 র কথা টেনে এনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদির অন্যতম ভোট সেনাপতি অমিত শাহ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!