শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে যোগী আদিত্যনাথের সভা, অথচ গরহাজির খোদ প্রার্থী! বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে জাতীয় নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য April 24, 2019 অনেকে রসিকতা করে বলছেন, “বিয়ে হচ্ছে, অথচ সেখানে বরেরই দেখা নেই।” হয়তো ভাবছেন, কী প্রসঙ্গে এমন কথা বলছি! আসলে লোকসভা ভোটকে কেন্দ্র করে বর্তমানে হেভিওয়েটদের প্রচারে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতি। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে সোমবার বনগাঁ শহরের আরএস মাঠে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে বিজেপির হেভিওয়েট উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সভা করতে গেলেও অনুপস্থিত দেখা গেল সেই শান্তনুবাবুকেই। যা নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে প্রবল ধন্দ। এমনকি শান্তনুবাবুর পাশাপাশি বিজেপি ঘনিষ্ঠ মতুয়াদের অনেককেই এদিনের এই সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়নি। আর এখানেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের প্রশ্ন, যে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র এবার দখলের জন্য স্বয়ং নরেন্দ্র মোদিকে এনে কদিন আগেই এখানে প্রচারে ঝড় তুলেছে বিজেপি, সেই বনগাঁতে বিজেপির হেভিওয়েট মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আসলেও কেন সেখানে খোদ বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল না? তাহলে কি বিজেপির অন্দরেও শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী কোন্দল? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও বা পেট খারাপ হওয়ার জন্যই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর এই সভায় উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। তবে এই সমস্ত কিছু মানতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। তাদের দাবি, আসলে এটা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলেরই ফসল। প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব বিল ইস্যুতে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই ঠাকুরনগরে এসে জনসভা করে সেই ঠাকুরবাড়িকে রাজনীতি মুক্ত করার ডাক দিয়ে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।এরপর সেখান থেকে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে তারই দেওরের ছেলে শান্তনু ঠাকুরকে প্রার্থী করে বিজেপি। আর জেঠিমা বনাম ভাইপোর এই লড়াইয়ে বিজেপি অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ পাবে বলে বিভিন্ন মহল থেকে নানা দাবি করা হলেও উত্তরপ্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুত্বের পোস্টারবয় বলে পরিচিত যোগী আদিত্যনাথ সেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে সভা করতে এলেও কেন সেখানে অনুপস্থিত শান্তনুবাবু! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। কেন প্রার্থী এদিনের সভায় অনুপস্থিত ছিলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে বারাসাত জেলার বিজেপির সভাপতি প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শান্তনুর পেটে গোলমাল হয়েছে। ও অসুস্থ। তাই আসতে পারেনি।” কিন্তু শান্তনুবাবু যদি অসুস্থই হয় তাহলে তার বাড়ির কেউ এলেন না কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে সেই প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওনারা সকলেই শান্তনুকে নিয়ে ব্যস্ত। মতুয়ারা অনেকে এসেছিলেন।” অন্যদিকে সভায় না আসার কারণ জানার জন্য বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরকে ফোন করা হলেও তিনি অবশ্য সেই ফোন ধরেননি। অন্য একজন ব্যক্তির ফোন ধরে বলেন, “উনি অসুস্থ, কথা বলতে পারবেন না।” কিন্তু ছেলে না গেলেও তিনি কেন যোগী আদিত্যনাথের এই সভায় গেলেন না? এদিন এই প্রসঙ্গে ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য তথা বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের বাবা মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর বলেন, “আমি কি আদৌ কোন দল করি?” তবে বিজেপির তরফে শান্তনু ঠাকুরের অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে শরীর খারাপের তত্ত্বকে খাড়া করলেও এদিন এই প্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “আসলে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ওদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এটা পুরোপুরি গোষ্ঠী কোন্দল।” সব মিলিয়ে এবার খোদ বিজেপির হেভিওয়েট উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভায় বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের অনুপস্থিতি নিয়ে তৈরি হল তীব্র বিতর্ক। আপনার মতামত জানান -