এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > চীনের আগ্রাসন নিয়ে তথ্য লুকিয়েছেন মোদী? প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সদ্য প্রকাশিত নথি ঘিরে তুলকালাম

চীনের আগ্রাসন নিয়ে তথ্য লুকিয়েছেন মোদী? প্রতিরক্ষামন্ত্রকের সদ্য প্রকাশিত নথি ঘিরে তুলকালাম


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি ভারত চীন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকেছে। কারণ, চীন বর্তমানে অনৈতিকভাবে ভারতের দিকে অগ্রসর হয়েছে। লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে ইতিমধ্যে হয়ে গেছে ভারত-চীন সেনাদের মধ্যে হাতাহাতি আর তাতে কুড়ি জন ভারতীয় সেনা জওয়ান শহীদো হয়েছেন। আর তারপরেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে আপামর ভারতবাসী। তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেন।

যদিও সেই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেন, ভারতের বুকে চীন একচুল জমিতেও পা রাখতে পারেনি। লাদাখে কোন অনুপ্রবেশ হয়নি। যদিও স্যাটেলাইট চিত্র অন্য কথা বলছিল। বিরোধীরা বার বার প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে সঠিক তথ্য চান। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একই কথা বলা হয় বারবার। কিন্তু এবার এমন এক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দপ্তর থেকে, যা রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলতে চলেছে মোদি সরকারকে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাম্প্রতিক ভারত-চীন বিতর্কের মাঝেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্বীকার করে নিল ভারতের মাটিতে পা রেখেছিল চীন। দীর্ঘদিন ধরে বিরোধীদের দাবি প্রকাশ্যে এলো সরকারি নথির হাত ধরে। এদিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নথি থেকে জানা যাচ্ছে, লাদাখে হট স্প্রিং এর কাছে কুকগাং লানা অর্থাৎ পিপি ১৫, গোগরা (পিপি ১৭) ও উত্তর প্যাংগংয়ে মে মাসের 17 থেকে 18 তারিখের মধ্যে চীনা সেনা পা রাখে। এবং 5 ই মে গালওয়ান সীমান্তে পা রাখে চীন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যথারীতি এই নথির বয়ানের সঙ্গে এবার বিরোধীদের একাংশের দাবি যে মান্যতা পেল, সে কথা এক বাক্যে মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশরা। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে, ভারত সীমান্তে চীন যবে থেকে পা রাখে ঠিক তখন থেকে ভারতে করোনার প্রবল আধিক্য দেখা যায়। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী চীন-ভারতের সীমান্তে পা রেখেছিল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নথি থেকে জানা যাচ্ছে, চীনা সেনারা অনেকটা অংশেই ভারতে প্রবেশ করে। এ বিষয়ে অবশ্য রাজনাথ সিং এর আগেও বক্তব্য রাখেন বলে জানা গেছে।

যদিও পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা যেন না করা হয়। আপাতত কংগ্রেসসহ বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন, জেনে শুনে কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীকে এতদিন ধরে অন্ধকারে রাখলেন? কেন সত্যি প্রকাশ করলেন না? আপাতত আগামী কয়েক দিন জাতীয় রাজনৈতিক মহলে চূড়ান্ত বিতর্ক যে চলবে ভারত চীন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে সে ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নথির জবাবে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কি উত্তর দেন, সেদিকে নজর থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!