এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মহুয়ার পর এবার অনুব্রত! তৃণমূল নেতাদের ‘পয়সা নেওয়া’ নিয়ে অস্বস্তি ক্রমশ প্রকট হচ্ছে!

মহুয়ার পর এবার অনুব্রত! তৃণমূল নেতাদের ‘পয়সা নেওয়া’ নিয়ে অস্বস্তি ক্রমশ প্রকট হচ্ছে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কথা বিরোধীদের। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের বেশিরভাগ পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা, জেলা পরিষদ থেকে পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। যাকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়ছে বিরোধীরা। রাজনীতির নিয়মানুযায়ী, বিরোধীরা এই ব্যাপারে চেপে ধরলে শাসকদল বিরোধীদের বক্তব্য খন্ডন করতে ময়দানে নামবে, সেটাই স্বাভাবিক। রাজ্যের বর্তমান শাসকদলের সিংহভাগ নেতারা সেই চেষ্টাই করছে।

কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তারা দুর্নীতির গন্ধ পেয়ে নিজেদের দলের নেতাদের সমঝে দিচ্ছেন। যা চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। কিছুদিন আগেই ভিডিও বার্তায় কৃষ্ণনগরের অনেক তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছিলেন অনেক তৃণমূল নেতা নেত্রীরা।

দলের সভানেত্রী এভাবে নিজের জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে ‌অভিযোগ করায়, বিরোধীরাও তাদের হাতে তৃণমূল বিরোধিতার নতুন অস্ত্র পেয়ে গিয়েছিল। আর মহুয়া মৈত্রের মন্তব্যে তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়লে এবার দুর্নীতির জন্য দলের অঞ্চল সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধানদের সতর্ক করতে দেখা গেল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। যাকে কেন্দ্র করে ফের শোরগোল ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রবিবার বীরভূমের পুরন্দরপুরে একটি চালকলের ভেতরে তৃণমূলের সিউড়ি 2 ব্লক কমিটির সদস্যদের নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানেই সমস্ত অঞ্চল সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধানদের সরকারি আবাস যোজনার দুর্নীতি বন্ধ করতে সতর্ক করে করে দেন জেলা তৃণমূল সভাপতি। এদিন অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “সাধারণ মানুষ কে কি দল করে, তা দেখবে না। তাদের বাড়ি দেবে। দয়া করে বাড়ি থেকে কোনো পয়সা নেবে না। আর যদি পয়সা নাও, তাহলে ব্লক সভাপতিকে বলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।” আর অনুব্রত মন্ডলের এই কথাতেই এবার বিরোধীদের তরফে ব্যাপক প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

অনেকেই বলছেন, তাহলে কি সত্যিই তৃণমূলে দুর্নীতি চরম পরিমাণে পৌঁছে গেছে? আর তাই এখন দলের জেলার শীর্ষ নেতা নেত্রীদের পক্ষ থেকে নিচুতলার প্রধান থেকে শুরু করে অঞ্চল সভাপতিদের দুর্নীতি বন্ধ করতে কড়া বার্তা দিতে হচ্ছে? এদিন অনুব্রত মণ্ডল এই মন্তব্য করলে তাকে পাল্টা আক্রমন করেছেন জেলা বিজেপির সভাপতির শ্যামাপদ মন্ডল।

তিনি বলেন, “এরকম কথা উনি আগেও বলেছেন। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। এটা কেবলই মানুষের চোখে ধুলো দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।” অর্থাৎ তৃণমূলের শীর্ষ নেতা নেত্রীদের পক্ষ থেকে এখন দুর্নীতি বন্ধ করার যে বার্তা নিচুতলার নেতাদের দেওয়া হচ্ছে, তাতে বিজেপির সরব হওয়া ঘাসফুল শিবিরকে চাপে রাখবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিন লকডাউনের মধ্যে কিভাবে তৃণমূল এই সভা করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল।

পাশাপাশি তিনি এটাও দাবি করেছেন যে, বিজেপি যদি এভাবে সভা করত, তাহলে পুলিশ কোনোমতেই অনুমতি দিত না। তবে বিজেপি নেতার এই দাবিকে সম্পূর্ণরূপে খারিজ করে দিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ। তিনি বলেন, “ওটা কোন সভা নয়। শুধুমাত্র পদাধিকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়েছে। তাও সকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক পড়ে একে একে এসেছিলেন।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!