প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একের পর এক আক্রমণ বিধায়ককে নিয়ে রীতিমত গুঞ্জন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন কোচবিহার দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। অন্যদিকে সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য্য দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন। যেখানে আগামী দিনে তিনি দল ছাড়ার মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

একইভাবে এবার গোটা রাজ্যজুড়ে যাকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হচ্ছে, সেই শুভেন্দু অধিকারীর ছবি পোস্ট করে নিজের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু। যার ফলে জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এদিন কালনা বিধানসভা তৃনমূল কার্যালয়ের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি পোস্ট করা হয়। যেখানে লেখা ছিল, “ছিলাম, আছি, থাকব।” জানা যায়, এই অ্যাকাউন্টটি নিজেই পরিচালনা করেন কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু।

একাংশ বলছেন, দুর্গাপুজোর আগে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত কালনা পৌরসভার প্রশাসক দেবপ্রসাদ বাগকে শহর তৃণমূলের সভাপতি করা হয়। আর এরপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে কালনার বিধায়কের। জানা যায়, তিনি রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।

বর্তমানে শুভেন্দুবাবুর আচার-আচরণ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত তিনি তৃণমূলের নেতা এবং রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী থাকলেও, বিভিন্ন জায়গায় তার অনুগামীরা শুধুমাত্র তার ছবি দিয়ে পোস্টার টাঙ্গাতে শুরু করেছেন। যার ফলে শুভেন্দু অধিকারীর দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন বলে দাবি করছে একাংশ। এমত পরিস্থিতিতে এবার কালনার তৃণমূল বিধায়ক যে অ্যাকাউন্ট চালান, সেই অ্যাকাউন্ট থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি পোস্ট করে তার পাশে থাকার কথা জানানোয় সেই তৃণমূল বিধায়কের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

অনেকে বলছেন, তাহলে কি এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর আরও ঘনিষ্ঠ হতে চলেছেন এই তৃণমূল বিধায়ক! তৃণমূলের একাংশের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী এখনও দলের নেতা। সেক্ষেত্রে তার ছবি পোস্ট করা অন্যায়ের কিছু নয়। এর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনার কোনো ব্যাপার নেই। তবে শাসকদলের অনেকে একথা বললেও এই গোটা ব্যাপারটি নিয়ে জল্পনার পারদ ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। শুভেন্দু অধিকারী যেভাবে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন, তাতে তার ছবি পোস্ট করে তৃণমূল বিধায়ক কোনো বার্তা দিতে চাইলেন কিনা, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি পোস্ট করার পর এবার কালনার তৃণমূল বিধায়কের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।