এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার বিরুদ্ধে কেন তদন্ত নয়? চরম বিড়ম্বনায় তৃনমূল, চওড়া সুর শুভেন্দুর!

মমতার বিরুদ্ধে কেন তদন্ত নয়? চরম বিড়ম্বনায় তৃনমূল, চওড়া সুর শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, এক সময়কার খাদ্যমন্ত্রী, সকলেই এখন জেলের ভেতরে রয়েছে। আরও অনেকেই দুর্নীতির জন্য জেলে যাবেন বলে দাবি করছে বিরোধীরা। তবে তাদের একটাই বক্তব্য, অনেক হলো চুনোপুটি, এবার ধরা পড়বে হাওয়াই চটি। হাওয়াই চটিকে গ্রেফতার না করা পর্যন্ত দুর্নীতির আসল রহস্য ভেদ হবে না বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এমন এক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, যাতে রীতিমত হতচকিত শাসক দলের নেতারা। বিভিন্ন সময় শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসক দলের বিভিন্ন নেতা নেত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথা বলেন। সেই তালিকায় থাকেন তৃণমূল দলের সর্বোচ্চ নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু এবার একেবারে অন্য যুক্তি দিয়ে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন জালে ফাঁসিয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু। কিন্তু কি বললেন তিনি? তার কথাতে কেনই বা এত বিড়ম্বনায় পড়ছে রাজ্যের শাসক দল?

প্রসঙ্গত, এদিন বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “মন্ত্রীসভা গঠন করেন মুখ্যমন্ত্রী। কে কোন মন্ত্রী হবে, তার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে তার বিরুদ্ধে কেন তদন্ত হবে না? আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।” একাংশ বলছেন, একেবারে সঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সত্যিই তো তাই, তৃণমূল দলে এমন কিছু হচ্ছে, এত কোটি কোটি টাকা লুট হচ্ছে, আর সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন না, এটা কেউ কি বিশ্বাস করবে? তিনি তো নিজে মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন। আজকে যারা জেলে গিয়েছেন, তা দেখে তো তিনিই মন্ত্রী করেছেন। তাহলে সেই দায় কেন মুখ্যমন্ত্রী নেবেন না? কেন তিনি তার দায় দেবেন না? কেনই বা তাকে তদন্তের জন্য জেরা করা হবে না? সেই প্রশ্ন তুলছে সমালোচকদের একাংশও।

বিজেপির দাবি, তৃণমূল দলে যে চুরি শুরু হয়েছে, তার জন্য অবিলম্বে ইস্তফা দেওয়া উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। এত নেতা, নেত্রী জেলে যাচ্ছে, তারপরেও তিনি লজ্জিত নন! তিনি এখন চেষ্টা করছেন, কি করে নিজের সততা মানুষের সামনে তুলে ধরা যায়! কি করে নিজে ঠিক থাকা যায়! কি করে নিজের সঠিক এবং স্বচ্ছ চিত্র তুলে ধরা যায়! কিন্তু এসবে মানুষ আর গলবে না। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চুরির রাজত্ব খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করেছেন। তাই এখন তৃণমূল বাংলার মানুষের কাছে পরিত্যক্ত দল হিসেবেই পরিচিত। তাই অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীকেও দুর্নীতির জন্য তদন্তের অধীনে নিয়ে আসা উচিত বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী এদিন যে কথা বলেছেন, তা অত্যন্ত মারাত্মক। তার কথা অনুযায়ী যদি এত মন্ত্রী জেলে যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীকে তদন্তের অধীনে নিয়ে আসা হয়, তাহলে তৃণমূলের অনেক গোপন রহস্য ফাঁস হয়ে যাবে। এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত ভয়ে রয়েছেন। কারণ পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকদের জেলযাত্রা অনেক গোপন খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ার শামিল বলেই মনে করছেন একাংশ। তাই তার মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর দাবি তৃণমূলের কাছে চরম বিড়ম্বনার কারণ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!