এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > করোনা এসে আরও বেশি করে চিনিয়ে দিচ্ছে কোন দিকে কে! মানুষের মন চিনতে নতুন পন্থা রাজনীতিবিদদের

করোনা এসে আরও বেশি করে চিনিয়ে দিচ্ছে কোন দিকে কে! মানুষের মন চিনতে নতুন পন্থা রাজনীতিবিদদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বরাবরই রাজনৈতিক যুদ্ধের আবহে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে এতদিন নির্দিষ্ট কিছু রাজনৈতিক চিহ্ন আঁকা ফ্ল্যাগ, টুপি, আবির ইত্যাদি। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন হতে আর বেশি দেরি নেই। কিন্তু 2020 র শুরু থেকেই এখনো পর্যন্ত রাজ্যের উপর ছেয়ে রয়েছে করোনা আতঙ্ক। এই অবস্থায় বিভিন্ন নির্দেশনামা জারি হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলা। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশের কারণে বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলি প্রকাশ্য সমাবেশ করতে পারছেনা।

যদিও বা করছে, তাতে খুব সামান্য সংখ্যক দলীয় কর্মীরা উপস্থিত থাকছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু সামান্য সংখ্যক উপস্থিত হলেও সেখানে মাস্ক পরে যাওয়া বাধ্যতামূলক থাকছে। এবং এই মাস্কের মধ্যে দিয়েই মানুষ বেছে নিচ্ছে তাঁর পছন্দসই চিহ্নকে বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি বাজারে বেশ কিছু মাস্ক এসেছে, যেখানে তৃণমূল এবং বিজেপির প্রতীক চিহ্ন আঁকা রয়েছে। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই মাস্কের হাত ধরে বর্তমানে চলছে রাজনৈতিক প্রচার।

করোনা আবহের প্রথম দিকে অবশ্য বিভিন্ন রকমের মাস্ক পাওয়া যাচ্ছিল। তবে বর্তমানে রাজনৈতিক প্রতীক চিহ্ন আঁকা মাস্কের চাহিদা বেশি বলে দাবি করছেন মাস্ক ব্যবসায়ীরা। আপাতত বিভিন্ন দলের প্রতীক চিহ্ন আঁকা মাস্ক পড়েই জনসংযোগের কাজেও নেমে পড়ছেন দলীয় কর্মীরা বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের কথায়, গ্রাহকদের চাহিদা পূরণ করার জন্যই বর্তমানে তৃণমূল এবং বিজেপি দুই দলের প্রতীক চিহ্ন আঁকা মাস্ক বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছে।

তবে জানা গেছে, সাধারণ মানুষের থেকে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা কিন্তু এ ধরনের মাস্ক বেশি কিনছেন। মাস্ক ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, রাজনোইতিক চিহ্ন আঁকা এক একটি মাস্কের দাম রয়েছে 35 থেকে 50 টাকার মধ্যে। রাজনৈতিক প্রচারের জন্য বা দলীয় কর্মসূচিতে গেলে বা স্বাভাবিক গতিবিধির ক্ষেত্রেও দলীয় কর্মীরা এখন নিজের নিজের দলের চিহ্ন আঁকা মাস্ক পরে বের হচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রশ্ন উঠেছে, ভবিষ্যতে কি ভোট প্রচারের কৌশল হিসেবে মাস্ক অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতে পারে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতাদের মত, ভোট প্রচারের কৌশল মাস্ক হবে কিনা তা এই মুহূর্তে পরিষ্কার নয়। তবে ব্যবসাদারদের তাঁদের ব্যবসা বাড়ানোর এটা অন্যতম কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপির তরফ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে সেইসব মাস্ক বিক্রেতাদের, যাঁরা বিজেপির চিহ্ন সমৃদ্ধ মাস্ক বিক্রি করছেন বাজারে। তবে মাস্কের বাজারে কিন্তু বাজিমাত করেছে 2 ফুল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। ব্যবসায়ীদের কথায় কংগ্রেস এবং সিপিআইএম এর প্রতীক চিহ্ন আঁকা মাস্কের চাহিদা নেই বললেই চলে।

তাই বর্তমানে ঘাসফুল এবং পদ্ম ফুলের চাহিদা তুঙ্গে বলে জানাচ্ছে মাস্ক ব্যবসায়ীরাই। যদিও কংগ্রেস বাম নেতারা মাস্ক প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ব্যবসাদারদের ব্যবসা করার এটা একটা পক্রিয়া। তাই এ ব্যাপারে মাথা না ঘামিয়ে তাঁদের দল মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মত, প্রত্যেকবারই ভোটের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে ব্যবসা বাড়িয়ে নেয় একদল ব্যবসায়ী। এর আগে মিষ্টি ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও এ ধরনের চল দেখা গেছে।

সেক্ষেত্রে মাস্ক বর্তমানে রাজ্যে প্রত্যেকের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে অন্যতম হয়ে উঠেছে সেকথা বলাইবাহুল্য। সে ক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা বাড়াতে রাজনৈতিক প্রতীক চিহ্নকে যে ব্যবহার করবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে এই মুহূর্তে বাংলায় আগামী দিনের রাজনৈতিক যুদ্ধ ঘিরে টানটান পরিস্থিতি। সেক্ষেত্রে মাস্ক এর মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচার কিছুটা হলেও যে প্রভাব ফেলবে জনমানসে, সে কথা মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!