কৃষক বিদ্রোহে উত্তাল হতে চলেছে দেশ? অবস্থা সামাল দিতে আসরে খোদ মোদী! তাও কি হবে শেষরক্ষা? জাতীয় বিশেষ খবর October 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে দেশজুড়ে। কিছুদিন আগেই সংসদের বাদল অধিবেশনের হাত ধরে কৃষি বিলকে কেন্দ্র করে তৈরি হয় ধুন্ধুমার পরিবেশ। দেশজুড়ে কৃষকেরা এই বিলের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন শুরু করেছে। অন্যদিকে কৃষকদের সঙ্গে একইভাবে কড়া ভাষায় বিরোধিতা জারি রেখেছে দেশের বিরোধী শক্তিগুলি। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী কৃষি বিল নিয়ে কৃষকদের ক্ষোভ প্রশমন করার চেষ্টা জারি রেখেছেন। সম্প্রতি কৃষি বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বৈঠক ডাকা হয়েছিল দিল্লিতে। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি সচিব এবং কৃষি বিলের বিপক্ষে আওয়াজ তোলা কৃষকেরা। বিক্ষুব্ধ কৃষকরা এই বৈঠকে দাবি করতে থাকেন, কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের মুখোমুখি হওয়ার। কিন্তু তিনি আসবেন না শুনে কৃষকেরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে স্লোগান দেওয়ার সাথে সাথে বিতর্কিত কৃষি আইনের যাবতীয় নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলেন। এবং তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। গত বাদল অধিবেশন থেকেই কৃষি বিল নিয়ে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত চাপানউতোর। বিরোধীরা অভিযোগ জানিয়েছে, কোনরকম ভোটাভুটির রাস্তায় না গিয়ে শুধুমাত্র ধ্বনি ভোটের জোরে এই বিল পাস করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে রাষ্ট্রপতির কাছে স্বাক্ষর হওয়ার জন্য এই বিলটি গেছে। তাই বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারংবার রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, যাতে তিনি সই না করেন এই বিতর্কিত বিলে। অন্যদিকে কেন্দ্রের বক্তব্য, দেশের কৃষকদের রোজগার বাড়াবে এই কৃষি বিল। তাছাড়া কৃষি ব্যবস্থায় বর্তমানে প্রচুর বদল এসেছে। তার সঙ্গে মিল রেখেই এই কৃষি বিল তৈরি করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বিরোধীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিযোগ, কৃষি আইনের বিরোধীরা কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছেন। নতুন কৃষি বিল অনুযায়ী চাষিরা অবশ্যই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাবেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। একইসাথে এবার থেকে কৃষকেরা উৎপাদিত শস্য যেকোনো জায়গায় বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কৃষ বিল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, নতুন আইনের ফলে অনেকের কালো টাকার আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে। কৃষি বিল সংসদে পাশ হওয়ার পর কিছুদিন আগেই ইন্ডিয়া গেটের কাছে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ দেখায় পাঞ্জাব যুব কংগ্রেস। সেখানে একটি ট্রাক্টর জ্বালিয়ে দেওয়া হয় প্রতিবাদস্বরূপ। এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, কৃষকরা যে যন্ত্রের পুজো করেন সেই যন্ত্র জ্বালিয়ে বিরোধীরা তাঁদের অপমান করছেন। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, কৃষকদের আরো বেশি দুর্দশার মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য নতুন কৃষি আইন এনেছে মোদী সরকার। কৃষি বিল নিয়ে কৃষকদের অনেকেই এবং বিরোধীরা এক বাক্যে দাবি করছেন, দেশের কৃষি ক্ষেত্রকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার জন্যই মোদি সরকারের এই ব্যবস্থা। অন্যদিকে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দেশের একশোর বেশি কৃষক সংগঠন ইতিমধ্যে রাস্তায় নেমেছে। কৃষি বিল এর প্রতিবাদে ইতিমধ্যে গেরুয়া শিবির ছেড়ে বেরিয়ে গেছে শরিক শিরোমণি আকালি দল। বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃষি বিল নিয়ে দেশজুড়ে ক্রমশ অশান্তির আগুন বাড়তে শুরু করেছে। অন্যদিকে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে এবার দেশের কৃষকদের পাশে পেয়ে বিরোধীরা শক্তি সঞ্চয় করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনের তোড়জোড় শুরু করেছে। আপাতত কৃষি বিল নিয়ে দেশজুড়ে অশান্তির ঝড় কোন দিকে মোড় নেয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখবে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -