এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > অ্যামাজন ও রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু! মামলা গড়াল আদালত পর্যন্ত, শেষ হাসি কার?

অ্যামাজন ও রিলায়েন্স গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র লড়াই শুরু! মামলা গড়াল আদালত পর্যন্ত, শেষ হাসি কার?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগে ফিউচার গোষ্ঠীর কিছু পণ্য ও পরিষেবা ব্যবসার বিরুদ্ধে সিঙ্গাপুরের সালিশি আদালতে অভিযোগ জানিয়েছে অ্যামাজ়ন। সম্প্রতি, সিঙ্গাপুরের সালিশি আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ বিষয়ে আদালতের চূড়ান্ত রায় ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ফিউচার গোষ্ঠী এইসব পণ্যের ব্যবসা করতে পারবে না। সালিশি আদালতের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চলছে ফিউচার গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্ট সংস্থা ফিউচার রিটেল বা এফআরএল।

সম্প্রতি ফিউচার গোষ্ঠীর বেশকিছু ব্যবসা অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিলায়েন্স। ফিউচার গোষ্ঠীর দাবি, সমস্ত রকম আইন মেনেই, এই অধিগ্রহনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে তাদের এই দাবি মেনে নেয়নি অ্যামাজন। যে কারণেই এই মামলা। এই অবস্থায় গতকাল সোমবার রিলায়্যান্স ও ফিউচার গোষ্ঠীর বেশ কিছু সংস্থার শেয়ার দর কিছুটা পড়ে যায়।

বেশ কিছুদিন আগে কিশোর বিয়ানির ফিউচার গোষ্ঠী বা এফআরএলের খুচরো ও পাইকারি গুদাম ও পণ্য পরিবহন ব্যবসা অধিগ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে মুকেশ আম্বানির আরআরভিএল, মোট ২৪৭১৩ কোটি টাকায়। রিলায়েন্সের ফিউচার গোষ্ঠীর অধিগ্রহণের কথা প্রকাশ পেতেই, এ বিষয়ে প্রবল আপত্তি জানায় অ্যামাজন। অ্যামাজনের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ করেছে ফিউচার গোষ্ঠী। শেষপর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে অ্যামাজন সিঙ্গাপুরে সালিসি আদালতের দ্বারস্থ হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অ্যামাজন অভিযোগ করেছে যে, গত ২০১৯ সালে ফিউচার গোষ্ঠী তাদের অনথিপত্র সংস্থা ফিউচার কুপনসের ৪৯% শতাংশ অংশীদারি কিনে নিয়েছিল। আবার ফিউচার রিটেলের ৭.৩% অংশীদারি ফিউচার কুপনসের হাতে আছে। এই হিসেবেই চুক্তি হয়েছিল তাদের। সেই চুক্তিতে বলা হয়েছিল যে, আগামী ৩ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত ফিউচার নিজের কোন অংশীদারি বিক্রয় করলে তা অ্যামাজনকেই প্রথমে কেনার সুযোগ দিতে হবে।

অন্যদিকে, সিঙ্গাপুরের সালিশি আদালতের নির্দেশ জানার পর ফিউচার গোষ্ঠীর দাবি, তারা ভারতের আইন মেনেই সমস্ত চুক্তি করেছে রিলায়েন্স এর সঙ্গে। তাদের দাবি, অ্যামাজন যে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছে, তার অংশীদার তারা ছিল না। রিলায়েন্সের সঙ্গে দ্রুত ব্যাসায়িক হাতবদলের সিদ্ধান্ত নিয়ে সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী ফিউচার গোষ্ঠী।

অন্যদিকে মুকেশ আম্বানির আরআরভিএল এ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, সমস্ত রকম আইনি পরামর্শ নিয়ে ও ভারতের আইন মেনেই ফিউচার গোষ্ঠীর ব্যবসা ও সম্পত্তি অধিগ্রহণ এর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তারা। তাই এ বিষয়ে চুক্তি মতো দ্রুত লেনদেন প্রক্রিয়া শুরু করতে আগ্রহী রিলায়েন্স। এভাবেই ফিউচার গোষ্ঠীকে নিয়ে রিলায়েন্স ও অ্যামাজনের বিরোধ আদালত পর্যন্ত ছড়ালো। তবে, এতে জিত কার হবে, তা এখনই বলা মুশকিল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!