প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   উপকারী প্রাণী গরুকে গোমাতা বলে রীতিমতো পুজো করে বিজেপি নেতারা। এমনকি তাঁরা গোমূত্র সেবনে বিভিন্ন রোগ মুক্ত হওয়া যায় বলেও দাবি করেন। এহেন পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে গো মাংস উপহার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে প্রশাসনের শ্যেন দৃষ্টিতে পড়তে হলো রাজ্যের নাগরিককে। ঘটনাটি ঘটেছে আসামে। এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, আসামের এক মহিলা হোয়াটসঅ্যাপে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে গো মাংস খাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আর সেই প্রস্তাব প্রকাশ্যে আসার পরই তড়িঘড়ি গ্রেপ্তার করা হয় মহিলাকে। যদিও জামিনযোগ্য অপরাধ হওয়ার দরুণ ইতিমধ্যেই ছাড়া পেয়েছেন ওই মহিলা। ঘটনায় অভিযুক্ত অসমের নলবাড়ির কামারকুচি গ্রামের বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার স্থানীয় এক নেতার মেয়ে।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই আসামে পশু বিল নিয়ে এসেছেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। আর এই বিল অনুসারে জানা যাচ্ছে, গোমাংস সেই এলাকাতেই খাওয়া যাবে যেখানে 100% মানুষ গোমাংস খান। অন্যদিকে হিমন্ত বিশ্বশর্মা এই পশু বিলের পরিপ্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, অন্য রাজ্য থেকে পশু পাচার রোধ করতে তিনি এই বিল নিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি রাজ্যে শান্তি বজায় রাখতেও তিনি যথেষ্ট বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন।

তিনি দাবি করেছেন, তাঁর রাজ্যে মুসলিমরা যথেষ্ট শান্তিপূর্ণভাবে বাস করছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, গোমাংস নিয়ে যে বিল নিয়ে এসেছে আসাম সরকার, তা কার্যত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের খাদ্য বিধিতে বাধা দিচ্ছে। আর তাই সংখ্যালঘু সম্প্রদায় থেকেই ধীরে ধীরে এবার প্রতিবাদ সামনে আসছে। আর সেই প্রতিবাদের দরুণই হোয়াটসঅ্যাপে গো মাংস খাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। খুব স্বাভাবিকভাবেই অসমের মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপ বিজেপির সংখ্যালঘু সংগঠনে যে যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে তা অনস্বীকার্য।