প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- শুভেন্দু অধিকারী দল বদল করার পর থেকেই তাকে সর্বতোভাবে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের বিরুদ্ধে। কিন্তু বারবার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে মামলা করলেও তা ঢোপে টেকেনি। আদালত থেকে রক্ষাকবচ ছিনিয়ে এনেছেন তিনি। আর এবার তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও করা মিথ্যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বড়সড় ধাক্কা খেলো রাজ্য। যেখানে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে সৌমেন্দু অধিকারী সহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে করা মামলায় রক্ষাকবচ বহাল রাখা হল। স্বভাবতই প্রতিহিংসার জালে ফাঁসানোর যে চেষ্টা রাজ্য করছে, তা যে শেষ পর্যন্ত আদালতে গিয়ে ব্যার্থ হচ্ছে, তা আবারও স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই তারা আদালতে যায়। যেখানে আদালতের পক্ষ থেকে গত 15 জুন রক্ষাকবচ দেওয়া হয় সৌমেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্যদের। তবে সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। যার কারণে আজ আদালতের পক্ষ থেকে আগামী তিন সপ্তাহ সেই রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। তবে পুলিশ জেরা করতে চাইলে সপ্তাহে দুদিন করে ডাকতে পারবে। কিন্তু দু’ঘণ্টার বেশি তাদের কাউকে জেরা করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে আবারও বিরাট জয় পেয়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেননা তার দল বদল করার পর থেকেই তার বাবা, ভাই সহ গোটা পরিবারকেই ফাঁসানোর চেষ্টা করছে পুলিশ বলে অভিযোগ। তবে শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে গিয়ে তারা রক্ষাকবচ নিয়ে আসছেন। বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন ভেঙে দিচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার আবারও তার ভাই সৌমেন্দু অধিকারী এবং অন্যান্যদের কলকাতা হাইকোর্ট তিন সপ্তাহের জন্য রক্ষাকবচ বৃদ্ধি করায় রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গেল রাজ্য প্রশাসন।

বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। তৃণমূল দলটা সম্পূর্ণরূপে প্রশাসনের উপর নির্ভরশীল হয়ে কাজ করছে। রাজনৈতিকভাবে পাল্লা দিতে না পেরে শুভেন্দু অধিকারী এবং তার পরিবারকে প্রশাসনকে দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়ে আটকাতে চাইছে রাজ্য। কিন্তু এত চক্রান্তের পরেও বারবার আইনের দরজায় গিয়ে রক্ষা পাচ্ছে অধিকারী পরিবার। সৌমেন্দু অধিকারী রক্ষাকবচ বৃদ্ধি পাওয়ার পর রাজ্য আবারও বড় শিক্ষা পেয়ে গেল। প্রমাণ হয়ে গেল, রাজনীতি হোক বা আদালত, সবদিক থেকেই অধিকারী পরিবারের কাছে হেরে ভূত হয়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।