এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ফের তৃনমূলের অনিয়ম প্রকাশ্যে! মমতার কপালে বড়সড় দুর্ভোগ! পদক্ষেপ বিজেপির!

ফের তৃনমূলের অনিয়ম প্রকাশ্যে! মমতার কপালে বড়সড় দুর্ভোগ! পদক্ষেপ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। রাজ্যে এসেছে তাদের একটি টিম। আর সেই টিমের কাছেই তৃণমূলের চালাকি বন্ধ করতে তথ্য পেশ করছে বিজেপি। মূলত, ভোটার তালিকায় যাতে মৃত ব্যক্তিদের নাম কোনোভাবেই না থাকে, তার জন্য বিজেপি পক্ষ থেকে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের টিমের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কেননা লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল বাংলা থেকে খুব একটা সুবিধা করতে পারবে না, এটা তারাও খুব ভালো মতো জানে। তাই অনিয়মের মধ্যে দিয়ে যাতে সমর্থন নিজেদের দিকে নিয়ে আসা যায়, তার জন্য সব পন্থা হয়তো শাসক দল অবলম্বন করবে। তবে সেই অনিয়ম আটকাতে কড়া নজরদারি রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির।

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। যেখানে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু সেই জোটের মতানৈক্য ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে। তারা কতটা ঐক্যবদ্ধভাবে বিজেপিকে চাপে রাখতে পারবে, সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন। অন্যদিকে বিজেপি যে আবার দেশে ক্ষমতায় আসছে, তা নিশ্চিত। তবে বাংলা থেকে মোদীর হাতে বিপুল সংখ্যক আসন তুলে দিতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপি। তাই কোনো জায়গায় যাতে বিন্দুমাত্র খুঁত না থাকে, তার চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ইতিমধ্যেই সেই ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়ে দিয়েছেন, যেহেতু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই লোকসভা নির্বাচন হবে, তাই তৃণমূল জেতার জন্য সব রাস্তা অবলম্বন করবে। ভোটার তালিকায় মৃত ব্যক্তিদের নাম অবিলম্বে বাদ দিতে হবে। তৃণমূল চেষ্টা করবে, সেই সমস্ত মৃত ব্যক্তিদের নাম রাখার। তবে সেটা যাতে বাদ দেওয়া হয়, তার জন্য কমিশনের প্রতিনিধি দলের কাছে আমরা আবেদন জানিয়েছি।

একাংশ বলছেন, লোকসভা ভোট পঞ্চায়েত এবং পৌরসভার ভোট নয়। তাই এখানে কোনো মতেই বুথ দখল করে কারচুপি করার মতো চেষ্টায় সফল হতে পারবে না তৃণমূল কংগ্রেস। এই অসৎ উপায় অবলম্বন না করলে তাদের পক্ষে বাংলার বিপুল আসনে জয়লাভ করা কার্যত দুসাধ্যের বিষয়। কেননা যে সমস্ত মানুষ পঞ্চায়েত, পৌরসভায় ঠিকমতো ভোটদান করতে পারেননি, তারা অপেক্ষায় আছেন, লোকসভায় ভোট দিয়ে তৃণমূলকে মুখের মত জবাব দেওয়ার জন্য। আর এটা তৃণমূল কংগ্রেস খুব ভালো মতো বুঝে গিয়েছে। সেই কারণেই অসৎ উপায় অবলম্বনের জন্য তাদের কাছে বড় হাতিয়ার হতে পারে, ভোটার কার্ড। তবে সেই ব্যাপারে বিজেপি যদি এখন থেকেই সতর্কতা অবলম্বন করে, তাহলে তৃণমূলের সেই চালাকির রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিগত 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির চাপে শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার তার থেকেও বেশি আসন বিজেপি টার্গেট করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। গেরুয়া শিবির নিশ্চিত, লোকসভায় বাংলা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে সেখানে যাতে পদ্ধতিগত কোনো ত্রুটি না থাকে, তৃণমূল যাতে কোনো জায়গায় বাড়তি সুবিধা না পায়, তার জন্য এখন থেকেই সব দরজা বন্ধ করে দিতে চাইছে ভারতীয় জনতা পার্টি। শুভেন্দু অধিকারীর কথার মধ্যে দিয়ে সেই ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। ফলে লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে যে বড়সড় দুর্ভোগ অপেক্ষা করছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!