উওরবঙ্গে রাজনৈতিক সংঘর্ষে মৃত সংখ্যালঘু বাম-কর্মী,আহত অন্তত ১৯,অভিযোগ তৃণমূলের দিকে রাজ্য June 4, 2018 এখনো সন্ত্রাসের আগুনে জ্বলছে উওরবঙ্গ। পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্ব শেষ হওয়ার কয়েক সপ্তাহ কেটে গেলেও হিংসার রাজনীতি থেকে মিলছে না নিস্তার। পরপর দুটো হিংসার নজির থমথমে করে দিল উওরবঙ্গের আবহাওয়া। আগেরদিন মহেশকুচিতে তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে মারার চেষ্টা করা হল। আর এদিন কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের জামালদহে সংঘর্ষের জেরে প্রাণ গেলো বছর পঞ্চাশের এক বাম কর্মী রমজান মিয়াঁর এবং ১৯ জন হলেন আহত। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে বামেদের তরফের স্থানীয় কমিটির সম্পাদক বিপিন শীলের থেকে জানা গেছে, এদিন দুপুরে স্থানীয় একটি রাস্তার কাজ নিয়ে ঝামেলা বাঁধে বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের ভিতর। আতাবুল ইসলাম নামে এক বাম সমর্থক শ্রমিকদের তালিকাও দিলেও শাসকদলের কর্মীরা সে কাজ বন্ধ করে দেয়। এনিয়ে এদিন ফের বৈঠক শুরু হলে তৃণমূলের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। তার জেরেই নিহত হন বাম কর্মী রমজান মিয়াঁ। এবং আতাবুল ইসলাম সহ আহত হন ১৯ জন বাম কর্মী। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীও অভিযোগের তীর শাসকদলের দিকে ঘুরিয়ে বলেন,” তৃণমূলের বাহিনীই আমাদের কর্মীকে খুন করেছে।” তবে মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান আবার এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পারিবারিক গোলমাল থেকেই এই সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় তাঁদের কোনো যোগাযোগ ছিল না। উওরবঙ্গে ঘটা দুটো হিংসার ঘটনাতেই রাত অব্দি পুলিশ কোনো অভিযুক্তকেই ধরতে পারেনি। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে, এমনটাই জানান পুলিশ সুপার ভোলানাথ পান্ডে। আপনার মতামত জানান -