এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > বঞ্চনা নয়, দুর্নীতি আটকাতেই সচেষ্ট শুভেন্দু, কিন্তু ভাইপোর এত জ্বালা কেন? কটাক্ষ বিজেপির!

বঞ্চনা নয়, দুর্নীতি আটকাতেই সচেষ্ট শুভেন্দু, কিন্তু ভাইপোর এত জ্বালা কেন? কটাক্ষ বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বাংলার মানুষের জন্য তার কত দরদ! তিনি দিল্লিতে গিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। কিন্তু তাকে নাকি সেখান থেকে আটক করা হয়েছে। তাকে নাকি দেখাই করতে দেওয়া হয়নি! এরকম অনেক বড় বড় দাবি বাংলার যুবরাজ করেছেন। আর দিল্লিতে সেই নাটক করে তিনি গতকাল বাংলায় ফিরে এসেছেন। বিমানবন্দরে নেমে তার আবার গাল ভরা ফুলঝুরি মূলক বক্তব্য শুনেছেন বাংলার মানুষ। বিরোধীরা অন্তত তেমনটাই বলছেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যুবরাজ যে সমস্ত কথা গতকাল বলেছেন, তা নিয়েও তাকে তুলোধোনা করতে ছাড়ছে না বিজেপি। নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে আবার প্রশ্নবান ছুড়ে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন যে, বাংলার টাকা যারা আটকাতে চায়, তাদের নাকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা বাংলার স্বার্থ নিয়ে লড়ছেন, কিন্তু তাদের পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রতিনিধি দল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আগেই তার সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মনে করা হচ্ছে যে, শুভেন্দুবাবু কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে একশো দিনের কাজে যে বিপুল দুর্নীতি হয়েছে, তার প্রকৃত তথ্য তার কাছে তুলে ধরেন। আর তারপর তৃণমূল নানা নাটক করে একটা চিত্র বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করে যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না। এদিন কলকাতায় নামার পর সংবাদ মাধ্যমের সামনে সেই রকমই অভিযোগ করেছেন বাংলার যুবরাজ। তবে তার সেই অভিযোগকে খণ্ডন করে বিজেপি অবশ্য পাল্টা যুক্তি দিচ্ছে।তাদের দাবি, বাংলার মানুষের টাকা কেউ আটকে রাখতে চায় না। টাকা আটকে রয়েছে তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য। রাজ্য সরকার হিসাব দিয়ে দিক, তাহলেই তারা টাকা পেয়ে যাবে। কিন্তু হিসাব যতক্ষণ না দেবে, ততক্ষণ তাদের একটা টাকাও দেওয়া হবে না। কারণ টাকা দিলেই আবার দুর্নীতি হবে। তাই সেই দুর্নীতি আটকানোর জন্যই শুভেন্দুবাবু সচেষ্ট হয়েছেন। আর তাতেই জ্বালা ধরেছে ভাইপোর বলেই দাবি সমালোচকদের।

বিরোধীদের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো সরকারের কেউ নয়। সরকারের মুখ্যমন্ত্রী তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি ক্ষমতা থাকে, হিম্মত থাকে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামনে এসে এই বিষয় নিয়ে দাবি-দাওয়া করুন না কেন! আন্দোলনে তিনি গেলেন না। তবে অডিও বার্তার মধ্যে দিয়েও তো তিনি দিল্লির মাটিতে বক্তব্য রাখতে পারতেন, কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করতে পারতেন! আসলে তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের পাঠিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আড়ালে থাকলেন। কারণ তিনিও খুব ভালো মতো জানেন, একশো দিনের কাজে রাজ্যে দুর্নীতি হয়েছে। আর তিনি দিল্লির মাটিতে গেলে, কেন্দ্রীয় সরকারের মুখোমুখি হলে তৃণমূলের দুর্নীতির পর্দা আরও ফাঁস হয়ে যাবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, ভাইপো এখন সর্বভারতীয় নেতা হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই হাতের কাছে একটা ইস্যু পেয়ে গিয়েছেন যে, বাংলাকে বঞ্চনা করা হচ্ছে। আর তা নিয়েই তিনি আন্দোলন শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু বাংলার যুবরাজ যা খুশি তাই করতে পারেন। তবে এসব করে চিড়ে ভিজবে না। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারী এই তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির ফাইল কেন্দ্রের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন, তাতে কেন্দ্রীয় সরকারও তৃণমূলের চুরির গোপন তথ্য সম্পর্কে অবহিত। তাই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ভাইপোর অনেক জ্বালা থাকতে পারে। কিন্তু বাংলার টাকা আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি যে অভিযোগ করছেন, তা বাংলার মানুষ মানতে পারছেন না। বরঞ্চ বাংলা থেকে একটাই আওয়াজ উঠছে যে, কিছু একটা তো হয়েছে, যার কারণেই কেন্দ্র এই টাকা আটকে দিয়েছে। তাই সেদিক থেকে শুভেন্দু অধিকারী বাংলাকে বঞ্চনার জন্য নয়, দুর্নীতি আটকানোর জন্যই লড়াই করছেন। আর তাতেই যুবরাজের এত জ্বালা শুরু হয়েছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!