এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন্দ্রকেও চলতে হবে ভাইপোর কথায়? বাচ্চার মত বাহানা, যুবরাজকে তুলোধোনা বিজেপির!

কেন্দ্রকেও চলতে হবে ভাইপোর কথায়? বাচ্চার মত বাহানা, যুবরাজকে তুলোধোনা বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বাংলাটাকে তো তারা গোল্লায় পাঠিয়েছেন। এবার দেশটাকেও গোল্লায় পাঠাতে সব রকম ব্যবস্থা করার চেষ্টা শুরু করে দিলেন ভাইপো? প্রথম তো, একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ। আর দ্বিতীয়ত, এবার এমন এক দাবি করে বসলেন বাংলার যুবরাজ, যা নিয়ে তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে নাকি তাদের দেখাই করতে দেওয়া হয়নি। বাংলার দাবি নিয়ে তারা গিয়েছেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাকি তাদের সঙ্গে দেখা করেননি, এরকম অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দপ্তরের সামনে তৃণমূলের হই হট্টগোল তো সকলেই দেখেছেন। কিন্তু কলকাতায় নেমে ভাইপো দাবি করছেন যে, তাদের সঙ্গে যে দেখা করা হয়নি, তার জন্য ভেতরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে। আর যুবরাজের এই দাবি শুনে বিরোধীরা বলছে, সবটাই কি মগের মুলক নাকি? বাংলাকে যা ইচ্ছে তাই ভাবে তারা চালাতে পারেন। কিন্তু দেশে একটা নিয়ম একটা শৃঙ্খলা রয়েছে। সব তাদের কথামত চলবে না।

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে যন্তরমন্তরে সভা করার পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। যে প্রতিনিধি দলে ছিলেন 40 জনের মত ব্যক্তি। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের জন্য আড়াই ঘণ্টা সময় ধরে দপ্তরে বসে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু তৃণমূলের একের পর এক দাবি শেষ পর্যন্ত মানা সম্ভব হয়নি। আসলে তৃণমূলের টার্গেট ছিল, মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা না। এমন কিছু বিষয় দিয়ে মন্ত্রীকে বেঁধে দিতে হবে, যাতে শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী দেখা করতে রাজি না হন। আর তখন তৃণমূল বাইরে আন্দোলন করার একটা সুযোগ পেয়ে যাবে, মিডিয়াতে প্রচার পাওয়ার একটা সুযোগ পেয়ে যাবে। এটাই ছিল তৃণমূলের উদ্দেশ্য। তেমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের। তা না হলে প্রত্যেকের সঙ্গে দেখা করতে হবে বলে মন্ত্রীর ওপর যে চাপ তৃণমূলের পক্ষ থেকে সৃষ্টি করা হয়েছিল, তার কারণ কি! এই প্রশ্নও যুবরাজের কাছে রাখতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতারা।

একাংশের বক্তব্য, বাংলার যুবরাজ তো এইসব প্রশ্নের উত্তর দেবেন না! কারণ উত্তর দিলে তিনি ধরা পড়ে যাবেন। তাই শেষ পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে যুবরাজ গোটা বিষয়টিকে ঘুরিয়ে দিয়ে দাবি করলেন যে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দপ্তরে যে তারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন, তার প্রমাণ স্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আনতে হবে। কিন্তু বাংলার মানুষ, ভারতবর্ষের মানুষ তো এটা দেখেছে যে, একটি কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তরে কতটা অসভ্যতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস! তাই এতটা দেখার পর বাংলার মানুষের আর ভেতরের সিসিটিভি দেখার আগ্রহ নেই বলেই দাবি সমালোচকদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলায় সরকারি দপ্তরগুলো তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের দপ্তর তা নয়। সেখানে যা খুশি তাই করা যায় না। একটা নিয়ম, একটা শৃঙ্খলা রয়েছে। তৃণমূল সেই নিয়ম-শৃংখলার ঊর্ধ্বে উঠতে চেয়েছিল। তারা ভেবেছিল, সবটাই তাদের মগের মুলুক। তবে পুলিশ তাদের আচ্ছা মতন জবাব দিয়েছে। আর তাতেই নাকে কান্না কাঁদতে শুরু করেছেন বাংলার যুবরাজ। আর এবার আবার তিনি দাবি করছেন, মন্ত্রীর দপ্তরের ভেতরে সিসিটিভি ফুটেজ নাকি প্রকাশ্যে আনতে হবে! কেন? তার কথা মতোই কি সবকিছু চলবে নাকি! তিনি যা বলবেন, সেই মতই কি চলতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে? বাংলাটাকে তো গোল্লায় পাঠিয়েছেন। এবার কি দেশকেও নিজের মতো করে চালাতে চাইছেন আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় ভাইপো? দিনের শেষে কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!