এবার মুখ্যমন্ত্রীর পরনের সাদা শাড়ী আর হাওয়াই চটির দাম নিয়ে নেত্রীর সাততা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন মুকুল রায় মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য April 18, 2019 মুকুল মমতার লড়াইয়ে জমজমাট লোকসভা ভোটের প্রচার। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের নির্বাচনের প্রচারে বিরোধীদের তোপ দাগছেন ক্রমাগত ,আর এদিকে মুকুল রায় ও তৃণমূল নেত্রী সমেত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছেন। উত্তর মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সামসি, গাজোল ও পাকুয়াহাটে জনসভা করেন তিনি। সেখান থেকেই কেন্দ্রের NRC সহ বিভিন্ন ইশু নিয়ে প্রসংসা করার পাশাপাশি সারদা, নারদকাণ্ড সহ একাধিক ইশু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা এককালের তাঁর প্রাক্তন নেত্রীকে তিনি তীব্র আক্রমণ করেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন মুকুলবাবু সামসির ঘাসিরাম মোড়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্থানীয় মানুষের ক্ষোভকে আরো চাঙ্গা করে দিয়ে তৃণমূলকে দোষী করে বলেন যে, “উত্তর মালদার রতুয়া, হরিশ্চন্দ্রপুর ও চাঁচল এলাকায় নদী ভাঙনের সমস্যা রয়েছে। এতদিন এখানকার সাংসদ বা বিধায়ক ভাঙনরোধের জন্য কোনও কাজ করেননি। রাজ্য সরকারও সেই কাজ করতে পারেনি অথবা করেনি।” সাথেই তিনি দাবি করেন যে তাঁর দলের প্রার্থী খগেন মুর্মুকে যদি তাঁরা জিতিয়ে আনেন তবে সংসদের ভিতরে ও বাইরে আওয়াজ তুলে সমস্ত অপূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। শুধু নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়েই নয় এদিন রায়গঞ্জে এই MOS ধাঁচের হাসপাতাল নিয়েও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রায়গঞ্জে এই MOS ধাঁচের হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এই রাজ্য সরকার হতে দেয়নি।” সাথেই খগেনবাবুকে জিতিয়ে আনলে এখানে সেই MOS স্থাপন করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। আর এর পরেই তাঁর প্রাক্তন নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তীব্র আক্রমণ জানান। আর সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীকে সার্কাসের জোকার বলে অভিহিত করেন। এদিন তিনি এই নিয়ে বক্তব্যের শুরুতে তৃণমূল নেত্রীর সাতটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “এরাজ্যে কেউ দেখাতে পারবেন, যেখানে লেখা রয়েছে মমতা সততার প্রতীক? তৃণমূলের কর্মীরাও এখন বুঝে গেছে, মমতা সততার প্রতীক নয়। কালীঘাটে উনি টালির বাড়িতে থাকেন। আর সেখানেই 35টি প্লটের মালিক মমতাদেবী। উনি পারলে আমার বিরুদ্ধে এই নিয়ে তদন্ত করান। আমি তাঁকে চ্যালেঞ্জ করছি। ” সাথেই তাঁর পায়ের হাওয়াই চটি ও তাঁর পরনের সাদা শাড়ী সম্পর্খে বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন “উনি বলছেন, উনি সততার প্রতীক। পায়ে হাওয়াই চটি পরেন তিনি। সেটার দাম জানেন? যে সাদা শাড়ি পরেন, তার দাম জানেন কেউ? দাম জানলে চমকে উঠবেন সবাই।” যদিও এই নিয়ে এখনো তৃণমূলের তরফ থেকে কোনো পতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। আপনার মতামত জানান -