এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আদিবাসীদের নিয়ে বিধানসভায় ঐতিহাসিক ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আদিবাসীদের নিয়ে বিধানসভায় ঐতিহাসিক ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের


বিধানসভায় এদিন আবারও এক বড় চমক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর, আদিবাসীদের মান্যতা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী এক যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করলেন । তিনি বললেন, এখন থেকে আর আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর হবে না। প্রসঙ্গত, শিল্পায়নের অজুহাতে বিভিন্ন রাজ্যে আদিবাসীদের তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করার অভিযোগ ওঠে। অভাবী ভূমিপুত্রেরা সামান্য অর্থের বিনিময়ে তাঁদের জমি অন্যের হাতে তুলে দেন।

মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের ঘোষণার পরে কঠোর এবং কঠিন অসহায়তার হাত থেকে আদিবাসীরা মুক্তি পেতে চললেন বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের মতে আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর হবে না ঘোষণার পর স্বভাবতই পশ্চিমবঙ্গের দেশের অন্যান্য রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষের কাছে স্বপ্নের রাজ্য হয়ে উঠতে চলেছে। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত দেশের কোনো রাজ্যই আদিবাসীদের আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে এমন সুচিন্তিত পরিকল্পনা নেওয়া হয় নি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

বাংলায় বাম জামানার অবসানের পরে ক্ষমতায় এসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদিবাসী উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এই সরকারের আমলেই রাজ্যের আদিবাসীরা সার্বিক ভাবে স্বনির্ভর প্রচেষ্টায় রয়েছে বলেও শাসকদল সূত্রে দাবি করা হয়েছে। আদিবাসী শিক্ষার হারও ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে বলে দাবি – এমনকি বর্তমানে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় প্রশ্নপত্র হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন শাসকদলের নেতারা।

এর সাথে সাথেই রাজ্য সরকারের নিজস্ব মুখপত্র ‘পশ্চিমবঙ্গ – ও’ ছাপা হচ্ছে অলচিকি ভাষাতে। এদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী, আদিবাসীদের জন্য ঐতিহাসিক ঘোষণার পাশাপাশিই রাজ্য সরকার মরিচঝাঁপিতে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরী করবে বলে ঘোষণা করলেন। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভিযোগ – ১৯৭৯ সালে সুন্দরবন অঞ্চলের মরিচঝাঁপি দ্বীপে তৎকালীন বাম সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে আসা শরণার্থীদের উচ্ছেদের জন্য পুলিশ দ্বীপটি ঘিরে ফেলেছিল। দীর্ঘদিন অবরোধের ফলে অনাহারে এবং পুলিশের নির্বিচারে গুলির আঘাতে বহু মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। সেই নারকীয় স্মৃতি রাজ্যবাসীর কাছে এখনও একটা গভীর ক্ষত বলেই মনে করা হয়। ১৯৭৯ সালের ৩১ শে জানুয়ারী গণহত্যায় মৃতদের শ্রদ্ধা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের এই স্মৃতিসৌধ গড়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!