এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কোভিড আবহে ভুয়োর গেরো আটকাতে এবার আসতে চলেছে বড়োসড়ো পরিবর্তন, জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে

কোভিড আবহে ভুয়োর গেরো আটকাতে এবার আসতে চলেছে বড়োসড়ো পরিবর্তন, জেনে নিন বিস্তারিত ভাবে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে মূলত কলকাতা এবং উত্তর 24 পরগনা জেলা। কলকাতায় করোনাকে ঠেকাতে জোর দেওয়া হয়েছে করোনা টেস্ট এর ওপর। কিন্তু কলকাতা পুরসভার দাবি, টেস্ট করলেও কিছু মানুষের নির্বুদ্ধিতার কারণে সংক্রমণ বাঁধনহারা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর এবার এ ধরনের ঘটনাকে ঠেকাতে কলকাতা পুরসভা নিচ্ছে বড়োসড়ো পদক্ষেপ। জানা যাচ্ছে, যে সব করোনা রোগী টেস্ট করাতে আসছেন তারা নিজেরাই ভুল ঠিকানা দিচ্ছেন। পরে সেই ঠিকানায় সরকারের পক্ষ থেকে যখন স্যানিটাইজেশন করতে যাওয়া হচ্ছে, দেখা যাচ্ছে ঠিকানা ভুল।

কিছু মানুষ যে ঠিকানা দিয়ে অ্যান্টিজেন বা আরটিপিসিআর পরীক্ষা করাচ্ছেন, বা হোম আইসোলেশনে থাকছেন বলে সরকারি তথ্যে জানাচ্ছেন, সেই ঠিকানায় গিয়ে অনেক রোগীকেই আর পাওয়া যাচ্ছে না পরে। কোন কোন ক্ষেত্রে সেই রোগী অন্যত্র থাকছেন এবং সামাজিক ক্ষেত্রে বিস্তর মেলামেশা শুরু করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। ফলস্বরূপ করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুতগতিতে। আর এই কারনেই এবার কলকাতা পৌরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত করোনা পরীক্ষা সেন্টারে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ড। এই খবর নিশ্চিত করেছেন কলকাতা পুরসভার অন্যতম প্রশাশক দেবব্রত মজুমদার।

স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা মহানগরীতে করোনা সংক্রমণ রুখতে উপসর্গহীন ব্যক্তিদের পুরসভার তরফ থেকে ম্যান-মার্কিংয়ের ব্যবস্থা চালু করতেই ভুয়া ঠিকানার ব্যাপারটি সামনে আসে। সরকারি হাসপাতালে পুরসভার সেন্টারে যদিও আধার কার্ড কিংবা ভোটার কার্ড বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে, কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালে শুধুমাত্র নাম-ঠিকানা নিয়েই করোনা পরীক্ষা হচ্ছে। এদিন পুরসভার প্রশাসক দেবব্রত মজুমদার অভিযোগ করেছেন এই নিয়ে। বেসরকারি হাসপাতাল এবং টেস্টের ক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন, সরকারি জায়গায় অ্যান্টিজেন টেস্ট করলে এক ঘণ্টার মধ্যে যেমন রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে, তেমন পরদিন সরকারি দপ্তরে পজিটিভ ব্যক্তির নাম ঠিকানাও চলে আসছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা করালে সরকারি জায়গায় নাম আসতেই সময় লেগে যাচ্ছে তিন চারদিন। পাশাপাশি পুর প্রশাসক দেবব্রত মজুমদার জানিয়েছেন, উপরন্তু বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আসা বেশকিছু নাম ও ঠিকানা ভুয়ো প্রমাণিত হচ্ছে। কেউ কেউ ঠিকানা দিয়েছেন টেস্টের সময় এক, এবং থাকছেন অন্য এক ঠিকানায়। তাই পুরসভার পক্ষ থেকে স্যানিটাইজ করা কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তিকে ম্যান মার্কিং করা হয়ে উঠছে কষ্টসাধ্য। আরও জানা যাচ্ছে, বেশ কয়েকজন করোনা আক্রান্ত ধরা পড়লেই নিজের বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অন্যত্র। এবং যেখানে যাচ্ছেন সেই ঠিকানা পুরসভা কিংবা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাউকেই জানাচ্ছেন না।

ফলে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে পুরসভার তরফ থেকে নজরবন্দিও করা যাচ্ছেনা। এবং সেই ব্যক্তির করোনা চিকিৎসাও হচ্ছেনা। খুব স্বাভাবিকভাবেই মেলামেশার ফলে করোনা আরো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যদিও কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি সংক্রামিত বাড়ির ঠিকানায় ও আশেপাশের বাড়িতে রোগ ধরা পড়ার পরেই জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে কলকাতা শহরের বিভিন্ন পাড়ার গলির মোড়ে রাখা থাকছে মিস্ট ব্লোয়ার। ওয়ার্ড এর ভিতরের বাজার কিংবা জনপদে বড় গাড়ি থেকে স্যানিটাইজার করা হচ্ছে যেরকম, ঠিক সেরকমই রাজপথে প্রতিদিন মিস্ট ক্যানন থেকে জীবাণুনাশক ছড়ানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

কিন্তু এত কিছু করেও করোনা পরিস্থিতিকে কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে সে ক্ষেত্রে করোনা রুগীরাই যে বিপদ ডেকে আনছে, সে ব্যাপারে একমত চিকিৎসক মহল। তবে ভুয়ো ঠিকানা দেওয়া আটকাতে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু বেসরকারি ক্ষেত্রে টেস্ট করালে করোনা রোগীরা কিন্তু একইভাবে বিপদ ডেকে আনবেন। সে ক্ষেত্রে বেসরকারি ক্ষেত্রেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মত অনেকেরই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!