এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অভিষেকের “রাজভবন চলো” চরম ফ্লপ! ব্যাক লাইট রাজ্যপালের? হাসছে বিরোধীরাও!

অভিষেকের “রাজভবন চলো” চরম ফ্লপ! ব্যাক লাইট রাজ্যপালের? হাসছে বিরোধীরাও!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃণমূলের দিল্লি অভিযান ফ্লপ হয়ে যাওয়ার পর এবার কি বাংলায় রাজভবন অভিযানও ফ্লপ হতে চলেছে? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একটা অংশ। কেন এই ধরনের প্রশ্নের উত্থাপন করা হচ্ছে? কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা নিয়ে তৃণমূল অনেক নাটক করেছে। তারপর বাইরে বেরিয়ে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, 5 তারিখ রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তারা বাংলার বঞ্চিতদের এই 50 লক্ষ্য চিঠি জমা দেবেন এবং কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা তুলে ধরবেন। যাতে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সরকারকে এই কথা জানান। সেই মত আজ 5 তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের রাজভবন অভিযানের কথা। কিন্তু যার কাছে সেই চিঠি জমা দিতে যাবেন তৃণমূল নেতারা, সেই রাজ্যপালই থাকবে না রাজভবনে। দিল্লি থেকে তিনি সোজা উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে চলে গিয়েছেন। ফলে তৃণমূল নেতারা যতই লাফালাফি করুন, তাদের আজকের রাজভবন অভিযান ফ্লপ হওয়ার মুখে বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দিল্লিতে ধর্না প্রতিবাদ সভা করা হয়েছে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে যে নাটক করেছেন তৃণমূল নেতারা, তা কার্যত বেনজির বলেই আখ্যা দিচ্ছেন একাংশ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন যে, তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি দপ্তরে বসেছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের যুক্তি, মন্ত্রী তাদের সঙ্গে দেখা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাই শেষ পর্যন্ত তারা প্রতিবাদ জানানোর কারণে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে আটক করা হয়েছে। যার ফলস্বরূপ তারা এবার রাজভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। তবে প্রথম থেকেই তৃণমূলের এই কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছিলেন যে, যে রাজ্যে শাসক দলের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল, সেখানে তারা কি করে সাংবিধানিক প্রধানের কাছে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে পারে! এটা কি সত্যিই সমীচীন?

তবে বিরোধীরা বলছেন, তৃণমূল আইন-কানুনের ধার ধারে না। তা না হলে দিল্লিতে তারা যে অসভ্যতা করেছে, তা করতে পারত না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বুকে রাজভবন চলো অভিযানের ডাক দিয়ে তৃণমূল নেতারা বীরত্ব দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে সেখানেও তাদেরকে ব্যাকলাইট দেখালেন রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে সেখানে গিয়েছেন রাজ্যপাল। তাই তৃণমূল এখন যদি রাজ্যপালের দেখা না পেয়ে রাজভবনের দরজায় বড় বড় কথা সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধেও বলে, তাহলে জনসাধারণের কাছে তাদের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে। তাই একদিকে আন্দোলন ফ্লপ হওয়ার আশঙ্কা এবং অন্যদিকে তৃণমূল নেতাদের বড় বড় গলা ফাটানোর কথা, দুটোই প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলেই দাবি বিরোধী শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, যে কাজ এই সরকারের মন্ত্রীরা করতে পারে না, তা করে দেখালেন রাজ্যপাল। বন্যা দুর্গত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে তিনি সোজা দিল্লি থেকে উত্তরবঙ্গে চলে গেলেন। আর সেই সময় তৃণমূল নেতারা বাংলাকে নাকি কেন্দ্র বঞ্চনা করছে, তার দাবি নিয়ে রাজ্যপালের দরজায় পৌঁছে যাওয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। সত্যি, বন্যায় যখন মানুষ বিপদে, তখন তাদের পাশে না দাঁড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল রাজ্যপালের দরজায় যাচ্ছে! তাই রাজভবন চলো অভিযানের ডাক দিয়েও আজ তৃণমূলকে চরম ব্যাকফুটে পড়তে হবে বলেই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!