এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বন্যায় কাঁদছে মানুষ, শুধুই ভাষন মমতার! রাজ্যপালই ভরসা, আশাবাদী বিরোধীরা!

বন্যায় কাঁদছে মানুষ, শুধুই ভাষন মমতার! রাজ্যপালই ভরসা, আশাবাদী বিরোধীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- প্রাকৃতিক দুর্যোগে এবং সিকিমের হড়পা বানে কার্যত ভয়াবহ অবস্থা উত্তরবঙ্গের নদীগুলোর। ফুঁসছে তিস্তা থেকে শুরু করে একাধিক বড় বড় নদী। শিলিগুড়ি থেকে শুরু করে জলপাইগুড়ির একাধিক এলাকা ভাসতে শুরু করেছে বন্যার জলে। আর পুজোর আগে এই দুর্যোগ রীতিমতো চিন্তা বাড়াচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। কোথায় যাবেন তারা, কি করবেন, তার কোনো দিশা কেউ খুঁজে পাচ্ছে না। আর এই পরিস্থিতিতে নবান্ন থেকে অডিও বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে তার সরকার বন্যা দুর্গতদের পাশে রয়েছে। কিন্তু উত্তরবঙ্গের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে শুধু মুখে বড় বড় কথা বললে হবে না। কাজে করে দেখাতে হবে। আর এবার সেটাই করে দেখালেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন। আর দিল্লি থেকে ফিরে সোজা কলকাতায় না গিয়ে একেবারে উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল। বর্তমানে দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন তিনি।

সূত্রের খবর, আজ সাত সকালে দার্জিলিংয়ের শ্বেতঝোরিয়ায় পৌঁছে গিয়ে সরেজমিনে গোটা পরিস্থিতির তদারকি করছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। আর ভয়াবহ বন্যার ভ্রুকুটির খবর পাওয়ার সাথে সাথেই দিল্লি থেকে সোজা উত্তরবঙ্গে রাজ্যপালের এই পৌঁছে যাওয়াকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন দুর্গতরা। কিন্তু এখানে সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। একাংশের দাবি, এই সরকারের নেতা-মন্ত্রীরা যখন বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, তখন সদল বলে দিল্লিতে চলে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে নাকি প্রতিবাদ জানাতে হবে। কিন্তু রাজ্যের মানুষের পাশে সেচমন্ত্রীর থাকার কথা থাকলেও তিনি দিল্লিতে গিয়ে বড় বড় ডায়লগ দিচ্ছিলেন। তবে এখন সরকারের ঘুম ভেঙেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দিল্লি থেকে ফিরে সেচমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে গিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু সময় চলে যাওয়ার পর সরকারের এই তৎপরতা কি কাজে আসবে, সেটাই বড় প্রশ্ন সমালোচকদের কাছে।

বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে আরও বলা হচ্ছে, রাজ্য প্রশাসনের যে কাজ করা উচিত, তার রাজ্যপাল করছেন। কেন রাজ্যপালকে ময়দানে নামতে হলো? তাহলে পরিস্থিতি নিশ্চয়ই ভয়াবহ। আর সেই পরিস্থিতি কন্ট্রোলে আনতে পারছে না রাজ্য প্রশাসন। সেই কারণেই তো সাংবিধানিক প্রধান ময়দানে নামলেন। তাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজনীতি না করে, দিল্লিতে গিয়ে গলা না ফাটিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীরা যদি রাজ্যে থেকে এই বন্যাকে আটকানোর দিকে নজর দিতেন, বৈঠক করতেন, তাহলে হয়তো মানুষ কিছুটা হলেও তাদের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করতো। দিনের শেষে আবারও প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে, এই প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ। মুখেই শুধু বড় বড় ডায়লগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারের। সমস্যা নিরসনে তাদের পদক্ষেপ বিগ জিরো বলেই কটাক্ষ বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যপাল তো রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি তো চাইলে নাও যেতে পারতেন উত্তরবঙ্গে। কারণ বন্যা যে হয়েছে, তা আটকানোর দায়িত্ব প্রশাসনের। কিন্তু তৃণমূলের মন্ত্রীরা এখন দিল্লি থেকে ফিরে রেস্ট নিতে ব্যস্ত বলেই দাবি একাংশের। মুখ্যমন্ত্রীও অসুস্থতার কারণে বাড়ি থেকে অডিও বার্তা দিচ্ছেন। কিন্তু মাঠে নেমে কাজ করার লোক কই? তাই রাজ্যপাল যখন ময়দানে নামলেন, তখন রাজ্য নয়, সাধারণ মানুষ তাকেই বেশি ভরসা করতে শুরু করেছেন। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!