এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কি কারণে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তুরুপের তাস প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল? জানুন বিস্তারিত

কি কারণে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তুরুপের তাস প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল? জানুন বিস্তারিত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভবানীপুর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হলো বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে। ভবানীপুর থেকে কোন নামজাদা হেভিওয়েটকে প্রার্থী করা হবে বলে জানা গিয়েছিল গেরুয়া শিবির থেকে। এরপর ৬ জনের একটি তালিকা দলের শীর্ষ নেতৃত্তের কাছে পাঠানো হয় রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে। আর এই তালিকার মধ্যে ছিলেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। সকলকে ছেড়ে তাঁকেই কেন বেছে নেয়া হল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে? এ প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখলেন বিজেপির একাধিক নেতা।

এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, ভবানীপুর মানে হলো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আসন। গোটা রাজ্যে ভোট পরবর্তী যে সন্ত্রাস চলছে, তার বিরুদ্ধে এই কেন্দ্রে লড়াই চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন সন্ত্রাসের মুখ। আর প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল হলেন প্রতিবাদের মুখ। প্রসঙ্গত, লড়াকু নেত্রী হিসেবে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল যথেষ্ট জনপ্রিয়। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে এন্টালী কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন তিনি। তবে ভোটে হেরে গেলেও ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় তিনি যেভাবে আইনি লড়াই লড়তে পেরেছেন, তাতে তাঁর উপরে যথেষ্ট আশ্বস্ত রাজ্য বিজেপি। ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই, সিটকে দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় বিজেপির পক্ষ থেকে প্রধান আইনজীবী ছিলেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। এরপর থেকেই তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশে চলছে। তা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হচ্ছে বলেই, তাঁরা মনে করেন। আর অসহায় বিজেপি কর্মীদের রক্ষা করার দায়িত্ব পালন করছেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। তিনি সফল হয়েছেন। ভোটেও তিনি সাফল্য পাবেন। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানেই সন্ত্রাস। আর প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল সন্ত্রাসের প্রতিবাদী মুখ। এভাবে প্রচার করা হবে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, মনে হতে পারে এটা একটা আসনের উপনির্বাচন। কিন্তু এর প্রচারে বিজেপি মনে করাবে সারা রাজ্যের পরিস্থিতি।

অন্যদিকে অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ জানিয়েছেন যে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাজার হাজার মানুষ ঘরছাড়া। এত মানুষ নিহত হয়েছেন, এত নারী ধর্ষিত হয়েছেন, কিন্তু এরপরও রাজ্য সরকার বলছে হিংসা হয়নি। কিন্তু তা হাইকোর্ট মান্যতা দেয় নি। সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। যা ভারতবর্ষে বিরল। উপনির্বাচন দুজনের লড়াই হতে চলেছে। একজন যিনি ভোটের পর সমস্ত হিংসাকে অস্বীকার করেছেন, এবং আরেকজন যিনি তা স্বীকার করাতে বাধ্য করেছেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!