এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দেশের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে দিল্লিতে ডেকে জানুয়ারির শুরুতেই লোকসভার চূড়ান্ত পরিকল্পনা মোদি-শাহর

দেশের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে দিল্লিতে ডেকে জানুয়ারির শুরুতেই লোকসভার চূড়ান্ত পরিকল্পনা মোদি-শাহর


সম্প্রতি তিন রাজ্যে দলের পরাজয় ও বিরোধী মহাজোটের লাগাতার প্রচারে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ জুটি। কিন্তু রাজনীতির এই রণাঙ্গনে শুধুমাত্র বিরোধীরা বাজিমাত করবে এমন তো হতে দেওয়া যায় না! আর তাই তো আগামী লোকসভা নির্বাচনে ঠিক কিভাবে তাঁরা এগোবে তা নিয়ে আগামী 11 এবং 12 ই জানুয়ারি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিলের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

যেখানে দেশের সমস্ত রাজ্যের পদাধিকারী ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। তবে শুধু রাজ্যের পদাধিকারীরারই নন, জেলার সাথে সরাসরি শীর্ষস্তরের সংযোগ স্থাপন করতে এবার জেলাস্তরের সভাপতি সহ মোট 12 জন করে সদস্যকে এই জাতীয় পরিষদের সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

মোটকথা লোকসভা নির্বাচনের দলের প্রচারের দায়িত্বে ঠিক যাঁরা যাঁরা থাকবেন তাঁদেরকেই এই সম্মেলনে ডেকে ফাইনাল টাক্স দিতে চাইছেন মোদি-শাহ জুটি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, একদম নিচু স্তর থেকেই যাতে দলের সাংগঠনিক ভিতটিকে মজবুত করা যায় সেজন্য জেলাস্তরে নেতাদেরও ডেকে পাঠাচ্ছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। কেননা হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে খারাপ ফলাফলের পর এখন বিজেপির পাখির চোখ এই বাংলা।

 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বাংলায় নিজেদের সংগঠন অতটা মজবুত না হলেও সংগঠন কিন্তু বাড়ছে, যা আশা জাগাচ্ছে গেরুয়া শিবিরে কিন্তু রথযাত্রা কর্মসূচির মাধ্যমে যে জনসংযোগের আয়োজন বিজেপির তরফ থেকে করা হয়েছিল তা এখনো আইনের বেড়াজালে আটকে আছে আর যে কারণে কিছুটা হলেও হতাশ গেরুয়া শিবির। আর তাই তাই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় দলীয় সংগঠনকে গড়ে তুলতে রাজ্য এবং জেলার নেতাদের ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্র। ঠিক কী কী আলোচনা হবে জাতীয় পরিষদের এই বৈঠকে?

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা বাংলার প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, “আসন্ন জাতীয় পরিষদের বৈঠক বাংলার ক্ষেত্রে গেম চেঞ্জার। জেলা নেতৃত্ব সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বা সর্বভারতীয় সভাপতির মুখ থেকে ভোটে জেতার কৌশল শুনবেন। আর তারপরই 2019 সালের লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়ে দেওয়া হবে।”

কিন্তু যেখানে বিজেপি একের পর এক কর্মসূচি নিয়েও তা পালন করতে ব্যর্থ সেখানে ঠিক কীভাবে এই দলীয় সংগঠনের ভিতকে মজবুত করে তুলবে তাঁরা? এদিন এই প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা বলেন, “বাংলার মানুষ তৃণমূলকে সমূলে উৎপাটিত করতে প্রস্তুত আছে। অগণতান্ত্রিকভাবে আমাদের কোনো কর্মসূচি নিতে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ভোটের 1 মাস আগে থেকেই এই রাজ্যটা জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আওতায় চলে যাবে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে যাবেন। আর ওই সময়ই বিজেপি রাজ্যজুড়ে প্রচার চালাবে।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এবার বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের হারানো জমি ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি এই রাজ্যকে নতুনভাবে টার্গেট করেছে বিজেপি। তাই এখানে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করতে চায় তাঁরা। আর তাই জাতীয় পরিষদের বৈঠক ডেকে দলের রাজ্য এবং জেলা নেতাদের সেই বার্তা দিতে চান বিজেপির শীর্ষনেতৃত্ব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!