এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কড়া আদালত! কানমলা খেয়ে লজ্জায় ইডি! এরপরেও শিক্ষা হবে কি?

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কড়া আদালত! কানমলা খেয়ে লজ্জায় ইডি! এরপরেও শিক্ষা হবে কি?


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত অনেক দিন ধরে চলছে। কিন্তু সকলের একটাই দাবি যে, সেই তদন্ত কবে শেষ হবে! আর কবে প্রকৃত দোষীরা গ্রেপ্তার হবে! আর কবেইবা চার্জশিট পেশ করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অবশেষে সেই প্রশ্নেই এবার আদালতের অসন্তোষের মুখে পড়ল ইডি। তবে এতকিছুর পরেও কি শিক্ষা হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার! নাকি তারা যে ঢিলে গতিতে চলছিল, যে নাটক তারা করছিল, সেই নাটকই চলবে! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অনেকদিন আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। আর তার জামিন মামলায় এর আগে দুই সপ্তাহ সময় চেয়েছিল ইডি। আজ আবার ইডির পক্ষ থেকে বিচারপতির কাছে তিন সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। আর তা শুনেই রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। তিনি জানান যে, সবই তো হচ্ছে, কিন্তু তদন্তের অগ্রগতি কোথায়? কেন এখনও পর্যন্ত জমা করতে পারল না তদন্তকারী সংস্থা! অর্থাৎ ইডির ভূমিকায় যে চরম অসন্তুষ্ট আদালত, তা আবার স্পষ্ট হয়ে গেল।

একাংশের দাবি, একের পর এক নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় তদন্ত বহুদিন ধরে চলছে। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে মানুষের অনেক আশা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত তারা চার্জশিট পেশ করতে পারল না। গ্রেপ্তার করতে পারল না অনেক রাঘব বোয়ালকে। তারা খোলা হাওয়ায় বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে পদক্ষেপ কোথায়! এটাই সকলের প্রশ্ন। আর সাধারণ মানুষের সেই পালস বুঝতে পেরেছে আদালত। তাই এবার আদালতের পক্ষ থেকেও কার্যত ইডির প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করা হলো।

বিশেষজ্ঞদের মতে, আর যদি বিন্দুমাত্র দেরি হয়, তাহলে মানুষের মনে যেমন বিশ্বাস হারাতে শুরু করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তেমনই আদালতের দরজায় তারা বারবার ধাক্কা খাবে। বিভিন্ন সময় বারবার আদালতের মন্তব্যে উঠে এসেছে যে, কেন্দ্রীয় সংস্থা অনেক ধীর গতিতে চলছে। লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। আজকেও আদালত সেটা স্পষ্ট করেছে। কিন্তু এর পরেও কি ইডির লজ্জা হবে? শীত ঘুম ভেঙে তারা কি গা ঝাড়া দিয়ে উঠবে! নাকি যে তিমিরে এই তদন্ত প্রক্রিয়া চলছিল, সেই তিমিড়েই পড়ে থাকবে গোটা ব্যবস্থা! তবে আদালতের ধমক শুনে কিছুদিনের জন্য তৎপরতা মূলক পদক্ষেপ নিয়ে কোনো লাভ হবে না। দুর্নীতির রহস্য ভেদ করতে এমন কিছু পদক্ষেপে ইডিকে গ্রহণ করতে হবে, যা মানুষের মনে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে। এখন সেই কাজ করতে কতটা আন্তরিক হবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!