এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল >  ছিঃ, চরম লজ্জা! বিদেশ যাত্রার দিনেই সব মন্ত্রীকে অপমান? একি করলেন মমতা!

 ছিঃ, চরম লজ্জা! বিদেশ যাত্রার দিনেই সব মন্ত্রীকে অপমান? একি করলেন মমতা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এতদিন বিরোধীরা অভিযোগ করত যে, তৃণমূলে একটাই পোস্ট, বাকি সব ল্যাম্পপোস্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে ছাড়া আর কাউকে ভরসা করতে পারেন না। অবশেষে বিদেশ যাত্রা লাগে বিরোধীদের সেই অভিযোগেই কার্যত শীলমোহর দিয়ে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়ম অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রী যখন থাকবেন না, তখন কোনো মন্ত্রীই তার দায়িত্ব সামলাবেন। কিন্তু কোনো মন্ত্রীকে দায়িত্ব না দিয়ে স্বরাষ্ট্র সচিবের কাঁধে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে চলে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও পর্যন্ত সেটাই খবর। আর এটাই কার্যত তৃণমূল নেতা এবং রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীদের কাছে চরম অপমান। তেমনটাই বলছে সমালোচক মহল।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, আজই 12 দিনের জন্য বিদেশ সফরে রওনা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার অবর্তমানে রাজ্যের সমস্ত বিষয় দেখভাল করবেন স্বরাষ্ট্র সচিব বি গোপালিকা। আর এটা তৃণমূলের মন্ত্রীদের কাছে চরম ধাক্কা। কেননা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, তিনি তার নিজের দলের মন্ত্রীদেরকে একফোঁটাও বিশ্বাস করতে পারেন না। তাই একজন প্রশাসনিক কামলার কাঁধে তিনি তার অবর্তমানে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে চলে গেলেন। ইতিমধ্যেই এই গোটা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার দাবি, এই গোটা ঘটনা অত্যন্ত লজ্জার এবং নিন্দার। এর আগেও অনেক মুখ্যমন্ত্রীরা বিদেশে গিয়েছেন। কিন্তু সেই সময় তারা তাদের সিনিয়র মন্ত্রীর কাঁধে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে গিয়েছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রশাসনিক আমলার কাঁধে রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে তিনি যে কাউকে বিশ্বাস করেন না, তা আবার প্রমাণ করে দিলেন।

বিরোধীদের দাবি, এতদিন তারা যে অভিযোগ করে এসেছিল যে, তৃণমূল সরকার সম্পূর্ণরূপে প্রশাসন নির্ভর হয়ে গিয়েছে, তা আবার স্পষ্ট। হয়তো প্রশাসনের সব কিছু নিজের দলের মন্ত্রীদের কাছে ছাড়তে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ তাহলে সেই মন্ত্রীরা হয়তো তার থেকেও অনেক বেশি যোগ্য, এটা প্রমাণ হয়ে যেতে পারে। তাই নিজের দলের কারওর কাঁধে দায়িত্ব না ছেড়ে আমলার হাতে সেই দায়িত্ব তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সত্যিই কি এটা মানা যায়! জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কি কখনও সরকারি আমলাদের তুলনা চলে? যেখানে সাধারণ মানুষ জনপ্রতিনিধিদে ভোট দিয়ে জেতান, সেখানে তাদের কাঁধে দায়িত্ব না দিয়ে প্রশাসনিক কর্তার ঘাড়ে দায়িত্ব দিয়ে কি গণতন্ত্রকেই অপমান করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

তবে এত প্রশ্ন করে কি লাভ! কেই বা শুনবে এই কথাগুলো? কারণ তৃণমূলের মধ্যেও হয়তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক ক্ষোভ জমা হতে শুরু করেছে। কিন্তু তা বলার মত মেরুদন্ড কজনের আছে! কারণ এই কথা বলতে গেলেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার ডানা ছেঁটে দেবেন। তাকে সাইড করে দেবেন সব দিক থেকে। তাই সবাই দিদিমণির অনিয়ম সিদ্ধান্তগুলোও চুপচাপ মুখ বুঝে সহ্য করে যাচ্ছেন। তবে বঙ্গ রাজনীতিতে এই ধরনের দৃষ্টান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে সত্যিই আশা করা যায় না। যিনি নিজের দলের সামান্য মন্ত্রীদের ভরসা রাখতে পারেন না, সব ভরসার জায়গা তার কাছে সরকারি আমলারা এবং রাজ্য ছাড়ার আগে তিনি সেই সরকারি আমলার ঘাড়েই দায়িত্ব দিয়ে যান। ফলে বুঝতে হবে, কিভাবে চলছে এই রাজ্যটা! কার চোখ দিয়ে রাজ্য দেখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! বিরোধীদের ওপর নিপীড়ন তো চলছেই। নিজের দলের ওপরেও তিনি যে প্রবল ভাবে নিপীড়ন চালাচ্ছেন, তা এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!