এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > অভিষেককে পাত্তাই দিচ্ছে না বিরোধী জোট, ঠ্যালায় পড়ে বড় সিদ্ধান্ত যুবরাজের!

অভিষেককে পাত্তাই দিচ্ছে না বিরোধী জোট, ঠ্যালায় পড়ে বড় সিদ্ধান্ত যুবরাজের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধীতায় তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। যে জোটে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দল তৃনমূল কংগ্রেস। আবার সেই জোটের একটি সমন্বয়ে কমিটি তৈরি হয়েছে। যেখানে রয়েছেন আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু জোটের সমন্বয়ে কমিটিতে থাকলেও কি সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছেন না বাংলার যুবরাজ! অন্যান্য সর্বভারতীয় স্তরের নেতাদের কাছে তিনি কি ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে যাচ্ছেন! কোনঠাসা হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস! এই প্রশ্ন ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে। কারণ, বুধবার সেই ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক রয়েছে। আবার সেদিনই ইডির পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর শেষ পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোটের সেই সমন্বয় কমিটির একজন প্রতিনিধি হয়েও সেখানে না গিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাকে কেন্দ্র করেই যাবতীয় প্রশ্ন দানা বেঁধেছে।

বলা বাহুল্য, ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক থাকার কারণে অভিষেকবাবু আদৌ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ডাকে সাড়া দেবেন কিনা, তা নিয়ে একটা দোলাচল চলছিল। তবে অবশেষে যা খবর পাওয়া গেল, তাতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না বাংলার যুবরাজ। তিনি যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি জেরা পর্বে যোগ দেওয়ার জন্য। কিন্তু হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত অভিষেকবাবুর? অনেকে বলতেই পারেন যে, তদন্তে সহযোগিতা করতে তিনি ইডির মুখোমুখি হচ্ছেন। তার কাছে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণেও, তিনি সেখানে গেলেন না। তবে এখানে আবার পাল্টা প্রশ্ন এবং যুক্তি দিচ্ছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এর আগেও রাজ্যে যখন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার চলছিল, তখন তদন্তকারী সংস্থা থেকে তাকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তখন সাড়া দেননি। বরঞ্চ বলেছিলেন যে, পঞ্চায়েত নির্বাচন পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি ইডির মুখোমুখি হবেন। ফলে সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধী জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠক, অথচ তা বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তা খুব সরল মনে মেনে নিতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।

তাদের দাবি, পিসি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই হয়তো ভাইপো সমন্বয় কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। কিন্তু তাকে সেই জোটে থাকা অন্যান্য নেতারা খুব একটা ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারছে না। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও জানেন যে, তিনি সেই সমন্বয়ে কমিটির বৈঠকে যোগ দিলেও সেখানে খুব একটা গুরুত্ব পাবেন না। চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া তার মতামতের প্রাধান্যও হয়তো অন্যান্য নেতারা দেবেন না। কারণ পিসির দয়ায় তিনি তৃণমূল দলের সর্বেসর্বা হয়েছেন, কিন্তু সেই জোটে অনেক বড় অভিজ্ঞ নেতারা রয়েছেন। তাই কমিটিতে থেকে তিনি যদি নিজেকে হিরো ভেবে নেন, তাহলে তা ভুল করবেন। তাই প্রচুর অঙ্ক কষে যুবরাজ ভেবেছেন যে, যা হওয়ার হবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হওয়াটাই তার কাছে বর্তমানে একমাত্র সুবিধে জনক পন্থা। কারণ তিনি জানেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বারবার ডাকে, আর ছেড়ে দেয়। তাই দিল্লির বৈঠকে গিয়ে মান সম্মান না খুইয়ে বাংলাতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরাপর্বে সামিল হওয়া উচিত। কারন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়ে তিনি এটা প্রমাণ করতে পারবেন তিনি যে, তিনি তদন্ত সহযোগিতা করলেন। কটাক্ষ করে এমনই দাবি করছে বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে এবারও হয়তো ছেড়ে দেবে। কারণ তাদের এই নাটক দীর্ঘদিন ধরে চলছে। হয়তো এবারও তারা সেই একই নাটক করবে। হতাশ হলেও সেই একই চিত্র দেখতে হবে রাজ্যবাসীকে। তাই যুবরাজ কার্যত একপ্রকার নিশ্চিত হয়েই সমন্বয় কমিটির বৈঠকে গিয়ে মান সম্মান খোয়ানোর থেকে ইডি জেরার মুখোমুখি হওয়াকে বেশি লাভজনক বলে মনে করছেন। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!